ক্রিকেটের বৈশ্বিক আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি

এক দশক আগে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ওয়ানডে বিশ^কাপের আয়োজক হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১১ সালের আসরটির ৮টি ম্যাচ হয়েছে এদেশে। এরপর ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের একক আয়োজক হয় বাংলাদেশ। এবার আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে বিশ^কাপের আয়োজক হতে আবেদন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বৈশ্বিক এসব টুর্নামেন্ট আয়োজনে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল এ বিষয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমরা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য এককভাবে আবেদন করেছি। কারণ এই ইভেন্ট করার জন্য যে ক’টা স্টেডিয়াম দরকার সেটা আমাদের আছে। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য আমরা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যুগ্মভাবে আবেদন করেছি। ওই বিশ্বকাপের জন্য যে পরিমাণ স্টেডিয়াম দরকার সেটা আমাদের নেই, দু’টো দেশ মিলে করা যায়। আর ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য আমরা তিনটা দেশÑ বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান মিলে আবেদন করেছি। এসব প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হলে সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি বা গ্যারান্টির দরকার হয়। আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমরা এই সংক্রান্ত অনুমতি নেয়ার যে পত্র দরকার হয় সেটার প্রথম পত্রটাই পেয়েছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে। উনি এই মর্মে সই করেছেন যে, এখানে যদি কোনো টুর্নামেন্ট হয় তো সমস্ত দায়িত্ব নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এখানে অনেক দেশের কিন্তু এ ব্যাপারে সমস্যা হচ্ছে।’
আইসিসি ২০২৪ থেকে ২০৩১ সালের ৮ বছরের চক্রে পুরুষদের বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট চূড়ান্ত করেছে। এ সময়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে দু’টি, ২০২৭ ও ২০৩১ সালে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে চারটি; ২০২৪, ২০২৬, ২০২৮ এবং ২০৩০। আইসিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোট ৮ দল নিয়ে মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করবে। ২০২৫ ও ২০২৯ সালে আবার এই প্রতিযোগিতা শুরু হবে। এছাড়া যুবদল ও নারীদের বিশ্বকাপও রয়েছে এ সময়ে।