আর্থিক সংকটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাঠের বিবর্ণ পারফরমেন্স। সব মিলিয়ে কঠিন সময় পার করছে বার্সেলোনা। মেসি-পরবর্তী যুগের শুরুটা বার্সেলোনা করেছিল জয় দিয়ে। সময় গড়ানোর সঙ্গে লিওনেল মেসির মতো একজনের অভাব টের পাচ্ছে কাতালানরা। সোমবার রাতে স্প্যানিশ লা লিগায় আবারো পয়েন্ট খুইয়েছে বার্সা। ঘরের মাঠে ১-১ গোলে বার্সেলোনাকে আটকে দিয়েছে গ্রানাডা।
লা লিগায় চার ম্যাচে ২ জয় ও ২ ড্রয়ে পয়েন্ট তালিকায় সেরা চারের বাইরে বার্সেলোনা। ৮ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে আসরের দ্বিতীয় সফল দলটি। লা লিগায় শুরুটা ভালো হয়নি।
চ্যাম্পিয়নস লীগেও একই দশা। ইউরোপ সেরার মঞ্চে নতুন মৌসুমের প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে বার্সেলোনা। দলের এমন পারফরমেন্সে খুশি নন বার্সা সমর্থকরা। ক্লাব কর্তারাও নাখোশ। এরই মধ্যে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে গুঞ্জন উঠেছে, সুতোয় ঝুলছে কোম্যানের চাকরি। ভালো ফলের জন্য উন্মুখ হয়ে থাকা ক্লাব ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন কোম্যান। সাবেক বার্সা তারকা মনে করিয়ে দিয়েছেন, দলের বর্তমান ফুটবলারদের সামর্থ্যরে কথা। এই ডাচ কোচ বলেন, ‘আমাদের স্কোয়াডের দিকে তাকান। আমাদের যেমন সামর্থ্য সেই অনুযায়ী তো খেলবো। তিকি-তাকা যুগের ফুটবলাররা এখন আর নেই। এই দলটা খেলছে নিজস্ব একটা ধরনে।’
কোম্যান এরপর সরাসরি বলে দিয়েছেন তার দলটা আট বছর আগের অপরাজেয় দল নয়। ২০১৩-১৪ মৌসুমে বার্সেলোনা স্কোয়াডে ছিল তারকায় ঠাসা। জাভি-ইনিয়েস্তা-মেসির সঙ্গে ছিলেন নেইমার, ফ্যাব্রেগাস, মাশ্চেরানো, দানি আলভেসরা। কোম্যান বলেন, ‘এটা সেই আট বছর আগের বার্সেলোনায় নয়। আমি মনে করি আমরা ঠিক পথেই রয়েছি। কিছুটা সময় দিলেই এই দলটাই জয় এনে দেবে।’
ম্যাচে ৭৭ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে বার্সেলোনা গোলের জন্য মোট ১৭টি শট নেয়, যার ছয়টি লক্ষ্যে। গ্রানাডার পাঁচ শটের দুটি লক্ষ্যে ছিল। চোটের কারণে মাঠের বাইরে একগাদা খেলোয়াড়। গত মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লীগে প্রথম ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারা ম্যাচ থেকে একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন আনেন বার্সেলোনা কোচ কোম্যান। বার্সেলোনা সমর্থকদের স্তব্ধ করে দ্বিতীয় মিনিটে এগিয়ে যায় গ্রানাডা। প্রতিপক্ষের কর্নার ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেনি স্বাগতিকরা। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের ক্রসে দূরের পোস্টে হেডে ফাঁকা জালে বল পাঠান অরক্ষিত দোমিনগোস দুয়ার্তে। মেম্ফিস ডিপাই, তরুণ ইউসুফ দেমির ও ফিলিপে কুতিনহো সুবিধা করতে পারেননি। গ্রানাডার জমাট রক্ষণে প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি তারা। বার্সেলোনা স্বস্তির গোল পায় নির্ধারিত সময়ের মিনিটখানেক আগে। টিনএজ গাভির ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন উরুগুইয়ান ডিফেন্ডার রোনালদ আরাউহো।