× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পণ্য পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল চট্টগ্রাম বন্দর

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, বুধবার

পুলিশের ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ করাসহ সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে ১৫ দফা দাবিতে সারা দেশে ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেছে চট্টগ্রাম থেকে নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশন। পরিবহন শ্রমিকদের এই ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। গতকাল সকাল ৬টা থেকে এই কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। গত শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কদমতলীতে আন্তঃজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়।
১৫ দফা দাবিগুলো হলো- মোটরযান মালিকদের ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর বা বর্ধিত আয়কর অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; ইতিমধ্যে আদায় করা বর্ধিত কর স্ব স্ব মালিককে ফেরত দিতে হবে; পুলিশের ঘুষ বাণিজ্যসহ সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে; গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করতে হবে; যেসব চালক ভারী মোটরযান চালাচ্ছে তাদের সহজ শর্তে এবং সরকারি ফি’র বিনিময়ে অবিলম্বে ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে; সব শ্রেণির মোটরযানে নিয়োজিত সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মতো রেশনিং সুবিধার আওতায় আনতে হবে; চট্টগ্রামে অবস্থিত ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মনোনীত প্রতিনিধি এবং সব ড্রাইভার ও সহকারীকে চট্টগ্রাম বন্দরে হয়রানিমুক্ত প্রবেশের সুবিধার্থে বাৎসরিক নবায়নযোগ্য বায়োমেট্রিক স্মার্টকার্ড দিতে হবে; প্রতি ৫০ কিলোমিটার পরপর পণ্যপরিবহন শ্রমিকদের জন্য দেশের সড়ক-মহাসড়কের নিরাপদ দূরত্বে বিশ্রামাগার ও কার্ভাডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার টার্মিনাল নির্মাণ করতে হবে; সারা দেশের জন্য একই পরিমাণ ওজন নির্ধারণ করে অতিরিক্ত (ওভারলোড) পণ্যপরিবহন বন্ধে লোডিং পয়েন্ট তথা পণ্যপরিবহনের উৎসস্থলে সরকার নির্ধারিত ওজন নিশ্চিত করে পণ্যবাহী গাড়িগুলোতে মালামাল লোড করতে হবে; লোড করা গাড়িগুলোকে উৎসস্থলে পণ্যের ওজনস্লিপ দিতে হবে।
এদিকে সকালে কর্মবিরতি শুরুর পর থেকে বন্দরে কোনো পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে পারেনি। একইভাবে বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে কোনো গাড়ি বেরও হচ্ছে না।
পণ্যবাহী যান বন্ধ থাকায় বন্দরের এনসিটি, সিসিটি ও জিসিবি’র জেটি ও ইয়ার্ডে লোড-আনলোডে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, শিপিং এজেন্টসহ বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ধর্মঘটের সমর্থনে সল্টগোলা ও কদমতলী এলাকায় মিছিল-সমাবেশ করেছে শ্রমিকরা। এ সময় তারা ১৫ দফা দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্যপরিবহন মালিক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাফর আলম বলেন, ?১৫ দফা দাবি না মানায় সারা দেশে আমাদের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। কর্মবিরতির কারণে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ আছে। আমাদের ১৫ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর