× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আবিরের মৃত্যু / নতুন করে তদন্ত করছে পুলিশ

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, বুধবার

রাজধানীর উত্তরার শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবির হোসেন খানের মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সম্প্রতি আবিরের বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে নতুন করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানায় তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র। সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় অনেকগুলো প্রশ্ন উঠেছে পরিবারের পক্ষ থেকে। যেগুলোর কোনো সমাধান মিলছে না। প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন হলেও পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন করে তদন্তের জন্য একটি আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা ও নিহত শিক্ষার্থীর বাবা ফজলুর রহমান খান। সূত্র আরও জানায়, ময়নাতদন্তের আগে সুরতহাল প্রতিবেদনের সময় শিক্ষার্থীর পিঠে একটি সেলাইয়ের দাগ দেখা গেছে। যেটা নতুন বলে মনে হয়েছে। এ ছাড়া তার তলপেটে অস্বাভাবিক কিছু জিনিস দেখা গেছে।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর মা পল্লী বিদ্যুতের বিলিং সহকারী আবেদা সুলতানা খান জানান, তার ছেলের শরীরে ইতিপূর্বে কোনো কাটাছেঁড়ার দাগ ছিল না। নতুন করে তদন্তের আবেদনে ছাত্রাবাসে কর্মরত গৃহকর্মী এবং শিক্ষকদের অসঙ্গতিপূর্ণ কথার বিষয়টিও উল্লেখ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দু’টি গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানালেও ঘটনাস্থলে একটি গামছা পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনার দিন আবিরকে গ্রিল থেকে নামিয়ে তার মাথায় পানি দেয়া হয়েছিল। অথচ তার মাথা পুরোপুরি শুকনো ছিল। এ ছাড়া আবির তাদের ছাত্রাবাসের পরিচালক ও শিক্ষক সবুজ আলীকে প্রচণ্ড ভয় পেতেন। আবিরের শরীরের সেলাইয়ের দাগ দেখে মনে হয়েছে তাকে হয়তো ছাত্রাবাসে বিভিন্ন সময়ে মারধর করা হয়েছে। যেটা কখনো পরিবারের সদস্যদেরকে ভয়ে বলতে পারেনি। এ ছাড়া তাকে মানসিকভাবে চাপে রাখা হতো। যেটা আবিরের মৃত্যুর আগে তার পরিবারের সদস্যরা নানা সময় বুঝতে পেরেও অনেক বুঝিয়ে ছাত্রাবাসে পাঠাতেন। আবিরের পরিবার জানিয়েছে, তার সঙ্গে এমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকতে পারে যেটা চাপা দিতে হয়তো শরীরের স্পর্শকাতর কোনো স্থানে আঘাত করা হয়েছে। ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। যেটাকে পরবর্তীতে আত্মহত্যায় রূপ দিতে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়। তার তলপেটে কিছু অস্বাভাবিক বিষয় দেখা গেছে। যেটা দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে তাকে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে নতুন করে মামলা তদন্তের আবেদন করা হয়। নতুন তদন্তের ক্ষেত্রে পুরাতন তদন্ত কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে নতুন তদন্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়ার আবেদন করা হয়েছে।   
আবিরের খালা বলেন, আবিরের মৃত্যুর ঘটনায় তার ছাত্রাবাসের শিক্ষক এবং পরিচালকদের আচরণ এবং তাদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা আমাদের কাছে সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছে। তাছাড়া তাদের স্কুলের একজন শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষ কোনো দায়িত্বপূর্ণ আচরণ দেখায়নি। এমনকি কোনো ধরনের সহযোগিতা পর্যন্ত করেননি। এসব বিষয় বিবেচনা করে আমরা নতুন করে তদন্তের আবেদন করেছি। আবিরের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে চাই। নতুন তদন্তে আশা করছি, আবিরের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল নাকি এটা অস্বাভাবিক ছিল- সেটা উঠে আসবে।
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রাবাসের পরিচালক সবুজ আলীকে ফোন দিলে তিনি মানবজমিনকে বলেন, শ্রেণিকক্ষে ব্যস্ত আছি। এখন কথা বলার সুযোগ নেই। উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) লাল মিয়া বলেন, গত রোববার শিক্ষার্থী আবিরের পরিবারের সদস্যরা নতুন করে তদন্তের বিষয়ে একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। আবেদনপত্রটি ইতিমধ্যে আদালতে পাঠানো হয়েছে। নতুন তদন্তের বিষয়টিও তিনি দেখছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর