আমাদের পজিটিভ রেট ৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। তার মানে এই নয় যে, বাংলাদেশ থেকে কোভিড চলে গেছে। আজ বুধবার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে একথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।
তিনি বলেন, সবাইকে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আমাদের পজিটিভ রেট ৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। তার মানে এই নয় যে, বাংলাদেশ থেকে কোভিড চলে গেছে। আমরা খেয়াল করেছি, অনেকেই মাস্ক পরছেন কিন্তু সঠিকভাবে পরছেন না। নাকের নিচে পরছেন অথবা ঠিকভাবে পরছেন না।
তিনি আরও বলেন, তাদের কাছে বিনীতে অনুরোধ থাকবে, বর্তমানে লকডাউন নেই, বিধিনিষেধেরও অনেককিছু নেই। আপনারা অনেকে অনেক অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যাচ্ছেন-যেখানেই যান না কেন এই স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলুন।
বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার করুন। প্রত্যেকে সঠিকভাবে মাস্ক পরুন। তাহলেই অনেক সেফটি পেয়ে যাবেন।
অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, দু’দিক থেকে যদি আমরা মাস্ক পরতে পারি, ওয়ান টু ওয়ান তাহলে কিন্তু ৯৬ ভাগ সম্ভাবনা থাকবে একজন থেকে আরেকজন না যাওয়ার। যদি একজন মাস্ক পরেন এবং আরেকজন খুলে রাখেন তাহলে কিন্তু সম্ভাবনা ধীরে ধীরে বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, করোনা শনাক্তের হারে আমরা ভালো অবস্থানে এসেছি এবং এই ভালো অবস্থান থেকে আরও ভালো অবস্থানে যেতে চাই। আমরা ৫ শতাংশেও খুশি নই। বাংলাদেশ সরকার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে আমরা এটিকে শূন্যতে নিয়ে আসতে চাই। সেই শূন্য অবস্থানে রাখতে চাই ২ থেকে ৩ সপ্তাহ। তবেই হয়তো আমরা বলতে পারব, আমরা কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের দিকে তাকালে আমরা তুলনামূলকভাবে দেখতে পাই, আমাদের কিউমেলিটিভ শনাক্ত ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৮৩ জন। আমাদের কিউমেলেটিভ মৃত্যু ২৭ হাজার ২২৫ জন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৮৩ জন। এই সংখ্যা বিশ্বের অন্যান্য দেশে অনেক বেশি। যেমন- যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে প্রায় ১৩ লাখের ওপর কেস আছে। রাশিয়াতে ৩০ হাজারের ওপর কেস আছে, ব্রাজিলে ১১ হাজারের ওপর কেস আছে এবং আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে প্রায় প্রতিদিনই ৩০ হাজারের ওপর শনাক্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এমনকি তৃতীয় ঢেউয়ের কথা যদি বলি যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে, তারমধ্যেও বাংলাদেশের অবস্থান ভালো। আমাদের টেস্টের সংখ্যাও যথেষ্ট পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ধীরে ধীরে বেড়েই যাচ্ছিল। আমরা অনেক টেস্ট করতে সক্ষম হয়েছি। প্রথম থেকে হিসাব করা হলে ৯৪ লাখের ওপর টেস্ট করা হয়েছে।