× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত- /ই-কমার্স বন্ধ নয়, রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করা হবে

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(২ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১, বুধবার, ৮:০৮ অপরাহ্ন

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ই-কমার্স বন্ধ না করে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য একটি রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করা হবে। সারা বিশ্বে ই-কমার্স চালু রয়েছে। ইতিমধ্যে এ ব্যবসার সঙ্গে লাখ লাখ মানুষ জড়িত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাণিজ্য পরিচালিত হবে। তবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণার দায় সরকার নেবে না। বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করা হবে। এখান থেকে ই-কমার্সের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হবে এবং কঠোরভাবে ডিজিটাল বাণিজ্য মনিটরিং করা হবে।
তিনি বলেন, করোনাকালে ই-কমার্স সুনাম অর্জন করেছে, মানুষ উপকৃত হয়েছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অসৎ ব্যবসা ও প্রতারণার কারণে সকল ই-কমার্স বন্ধ করে দেয়া ঠিক হবে না। যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের প্রতারণার সুযোগ না পায়, সে জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা কার্যকর হবার পর প্রতারণা বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যে গ্রাহকদের প্রতারিত করেছে, ইতিমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সে বিষয়ে আরও কি করা যায়, সরকার তা পরিক্ষী-নিরীক্ষা করে দেখছে।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ই-কমার্স খাতের নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল কমার্স আইন করা হবে। পাশাপাশি আইন প্রণয়ন করার জন্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ করবে সরকার। এরই মধ্যে যারা ই-কমার্সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের অভিযোগ জানতে ও তদন্ত করতে ব্যবস্থাপনা সেল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ইভ্যালিসহ যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করেছে, তাদের কাছে গ্রাহকের যে পাওনা, তা পরিশোধের ব্যাপারে সরকার কোনও দায় নেবে না। তিনি বলেন, তবে আইনি প্রক্রিয়ায় দেখা হবে তাদের কাছে দায় শোধের সম্পদ আছে কিনা; কিংবা লুকানো অবস্থায় তাদের কোনও সম্পদ আছে কিনা। যদি থাকে তবে এগুলো থেকে গ্রাহকের দায় শোধ করা হবে। মন্ত্রী জানান, যারা প্রতারণা করছে, তাদের বিচারের জন্য সিকিউরিটি ও মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট সংশোধন করা হবে। বৃহস্পতিবার কাজ শুরু হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর