× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় / হল না খুলে পরীক্ষা, মেসের সিট নিয়ে মারামারি

শিক্ষাঙ্গন

ইবি প্রতিনিধি
(২ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৭:১২ অপরাহ্ন

মেসের সিট দখল নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী ত্রিবেণী এলাকায় একটা মেসে এ ঘটনা ঘটে।

সূত্র মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের পিছনে ত্রিবেণী এলাকায় এক মেসে রুম নিয়ে কয়েকজন বন্ধুসহ অবস্থান করছিলো বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ধ্রুব। এ মাসে সে মেস ছেড়ে চলে যায়। চলতি মাসের ভাড়া পরিশোধ থাকায় সে তার মার্কেটিং বিভাগের হাফিজ ও ফিন্যান্স বিভাগের সাকিবকে রেখে যায়। পরে হাফিজ ও সাকিব ঐ রুম ভাড়া নেয়ার জন্য মেস মালিককে জানায়। এসময় মেস মালিক তাদেরকে ভাড়া দিতে চায় বলে দাবি করেন হাফিজ।

তবে একথা অস্বীকার করে মেস মালিক বলেন, আমি এ রুমের বিষয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সেলিমের মাধ্যমে একজনকে আগেই কথা দিয়েছিলাম। পরে সেলিমের মাধ্যমে তার বন্ধু মামুন সেই রুমে উঠতে গেলে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে হাফিজ তার বন্ধুদের ডেকে এনে সেলিমকে মারধর করে। পরে সেলিমের বন্ধুরা আসলে আবারো হাতাহাতি হয় তাদের মধ্যে।

এ বিষয়ে হাফিজ বলেন, মেস মালিক প্রথমে আমাদের ভাড়া দিতে চেয়ে পরে আমাদের বাদ দিয়ে অন্যদের সেই রুমে উঠায়। আমরা এর প্রতিবাদ করতে গেলে সে আমাদের উপর চড়াও হয়। এছাড়া আমদের বন্ধু এই মাসের ভাড়া পরিশোধ করেছে। কিন্তু মাস শেষ না হতেই এখানে আরেকজনকে উঠানো হয়।

সেলিম বলেন, হাফিজ ও সাকিব মেসে মাদক সেবন করতো। তাই মেস মালিক তাদেরকে রুম ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানায়। মেস মালিক আমাকে মামুন কে ঐ রুমে উঠাতে বলে। আমি তাকে সেখানে উঠাতে গেলে হাফিজ ক্ষীপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে জেনে আমি শৈলকুপা থানায় যোগাযোগ করেছি। তারা বিষয়টি সম্পর্কে খোজ নিচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ই সেপ্টেম্বর থেকে আবাসিক হল বন্ধ রেখে ইবিতে সশরীরের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বর্তমানে ২০টিরও বেশি বিভাগে পরীক্ষা চলছে। অন্যান্য বিভাগও পরীক্ষার তারিখ প্রকাশ করেছে। ফলে একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের আশেপাশের মেসগুলোতে অবস্থান করছে। এসব এলাকায় পর্যাপ্ত মেস না থাকায় এক সিটে দুইজন করে থাকতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এছাড়া মেস মালিকরা সিটের প্রায় ডাবল ভাড়া নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর