× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘মালদিনি ইজ ব্যাক’

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, সোমবার

ইতালিয়ান ফুটবলের বিখ্যাত নামটি ফিরলো সিরি আ লীগের স্কোরশিটে। দাদা ও পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে এসি মিলানের জার্সিতে গোল পেলেন দানিয়েল মালদিনি। শনিবার সিরি আ লীগে স্পেজিয়াকে ২-১ গোলে হারায় এসি মিলান। লীগে প্রথমবারের মতো মিলানের শুরুর একাদশে সুযোগ পান দানিয়েল মালদিনি। আর দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখেন দারুণ এক গোল নিয়ে। ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে হেডে গোল আদায় করেন ১৯ বছর বয়সী দানিয়েল। ম্যাচ শেষে জয় দিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে পৌঁছে যায় তার দল এসি মিলান। চলতি লীগে মিলানের সংগ্রহ ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট।
আসরে ৫ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট সংগ্রহ নাপোলির। শিরোপাধারী ইন্টার মিলানের ঝুলিতে রয়েছে ৬ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট। ম্যাচ শেষে মিলানের ইতালিয়ান কোচ স্টেফানো পিওলি বলেন, ‘দানিয়েল মেধাবি ফুটবলার। তার টেকনিক ভালো। খেলাটি সে ভালোভাবে পড়তে পারে এবং সে জানে কিভাবে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে হয়।’
দানিয়েল এসি মিলানের জার্সিতে মালদিনি পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের গোলদাতা। মিলানের জার্সি গায়ে বর্নাঢ্য ক্যারিয়ার ছিল দাদা সিজারে মালদিনি ও পিতা পাওলো মালদিনির। সিজারে ও পাওলো- উভয়েই এসি মিলানের হয়ে নিয়েছেন ইতালিয়ান লীগ ও ইউরোপিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপার স্বাদ।
মিলানের স্কোর শিটে মালদিনি নামটি উঠলো ১৩ বছর ১৭৯ দিন পর। সর্বশেষ ২০০৮ সালে মিলানের হয়ে গোল পান পাওলো মালদিনি। দানিয়েলের দাদা সিজারে মালদিনি মিলানের জার্সিতে সর্বশেষ গোল পেয়েছিলেন ৬০ বছর ২২ দিন আগে ১৯৬১ সালে কাতানিযার বিপক্ষে ম্যাচে।
শনিবার মিলানের সান সিরো স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে পুত্রের কীর্তি উপভোগ করেন পাওলো মালদিনি। বর্তমানে এসি মিলান ক্লাবের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পদে থাকা পাওলো মালদিনি দলটির জার্সি গায়ে ক্যারিয়ারে খেলেছেন ৯০২ ম্যাচ। ১৯৮৮ থেকে ২০০২ পর্যন্ত ইতালি জাতীয় দলের হয়ে ১২৬ ম্যাচ খেলেছেন ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের অন্যতম সেরা লেফট-ব্যাক।
অন্যদিকে সিজারে মালদিনি ১৯৫৪ থেকে ১৯৬৬ পর্যন্ত স্থায়ী ক্যারিয়ারে এসি মিলানের জার্সি গায়ে খেলেছেন ৪১২ ম্যাচ। ইতালি জাতীয় দলের হয়েও ১৪ ম্যাচ খেলেছেন এ ডিফেন্স তারকা। ১৯৬২ বিশ্বকাপে নৈপুণ্য দিয়ে অলস্টার দলে জায়গা পান সিজারে মালদিনি। পরের বছর মিলানের জার্সি গায়ে ইউরোপিয়ান কাপ শিরোপার স্বাদ নেন চারবারের সিরি আ লীগজয়ী সিজারে।
ইতালির প্রথম ক্লাব হিসেবে ১৯৬৩ সালে ইউরোপিয়ান কাপ জয়ী এসি মিলানের অধিনায়ক ছিলেন তিনি।
ক্যারিয়ারে পাওলো মালদিনি সিরি আ শিরোপা জিতেছেন ৭ বার। পাওলো পাঁচবার নিয়েছেন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপার স্বাদ। আর ১৯৯৮ বিশ্বকাপে পিতাপুত্র সিজারে-পাওলোর কীর্তিময় আবির্ভাবে রচিত হয় ইতিহাস। ফ্রান্সে সেবার ইতালি দলের কোচের দায়িত্ব সামলান সিজারে মালদিনি আর অধিনায়কের আর্মব্যান্ড ছিল
পাওলো মালদিনির হাতে। সেবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যাত্রা থামে ইতালির। বিশ্বকাপে আর কোনো পিতাপুত্রের কোচ-অধিনায়কের দায়িত্ব সামলানোর নজির নেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর