× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চাঁদা না দেয়ায় নির্মাণাধীন ভবন মালিককে হত্যা

অনলাইন

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
(২ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১, সোমবার, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীতে দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় নির্মাণাধীন সাততলা ভবনের মালিককে হত্যার পর ওই ভবনের পাশেই ফেলে রাখলো স্থানীয় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা। নিহত ভবন মালিকের নাম নেজাম পাশা। তিনি ফটিকছড়ি পৌরসভার ধুরুং হাদী বাপের বাড়ির বাসিন্দা।

নিহতের বড় ছেলে প্রবাসী ফয়সাল মুহাম্মদ (হাইছম) মুঠোফোনে জানান, প্রায় দিন তার বাবা নির্মাণাধীন সাত তলা ভবনের কাজ তদারকি করতে ফটিকছড়ি থেকে খুলশীতে যেতেন। সার্বক্ষণিক দেখভালের জন্য হাসান নামের একজন কেয়ারটেকারও রয়েছে। প্রতিদিনকার ন্যায় গতকাল (রোববার) সকালেও তার বাবা সেখানে যান। সকাল দশটা থেকে তার ফোনে কল করেও পাওয়া যাচ্ছিল না। এক পর্যায়ে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। দরোয়ানকে ফোন করা হলে তিনিও উল্টাপাল্টা বলতে থাকেন।
সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলে কোন খোঁজ না পাওয়াতে নগরীতে বসবাসরত নিহতের বড় মেয়ে নাজমুন সবনম খুলশী থানায় জিডি করেন।

রাত দশটার দিকে তার ফোন চালু করে দরোয়ান পরিচয়ে কেউ একজন কথা বলেন। ভবনের মালামাল নিয়ে এসেছে, টাকা লাগবে বলে জানান ফোন করে। পরক্ষণে আবারো ফোনটি বন্ধ করে দেয়া হয়।

গ্রাম থেকে তার পরিবারের সদস্যরা রাতে গিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও কোন হদিস মিলেনি। অবশেষে ভোর সকালে মসজিদের মুসল্লিরা লাশ দেখতে পান। তার নির্মাণাধীন ভবনের প্রায় চল্লিশগজ দূরে প্লাস্টিকে ঢাকা হাত বাঁধা লাশটি পড়ে থাকে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা সেখানে আসেন। পরে পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল তৈরি করে মর্গে প্রেরণ করে।

নিহতের ছেলে হাইসম বলেন, ভবনের সাত তলার ডালাই কাজ শেষ। শুরু থেকে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবি করে আসছিল। বাবা কোনভাবে এক টাকাও দিতে রাজি ছিলেন না। স্থানীয় চাঁদাবাজরা চাঁদা না পাওয়াতে খুন করতে পারে।

অপরদিকে দরোয়ানের সঙ্গেও মনোমালিন্য ছিল। সে ভবনের জন্য নিয়ে আসা বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রি করে ফেলতো। ঘটনার পর থেকে দরোয়ান হাসান পলাতক। নিহত নেজাম পাশা দুই পুত্র ও তিন কন্যা সন্তানের জনক। তিনি দীর্ঘসময় প্রবাসে ছিলেন। দুই পুত্র সন্তানরাও বর্তমানে প্রবাসে।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অবিলম্বে খুনিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি করছেন নিহতের স্বজনরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর