× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পাকিস্তানে ‘ইসলামিক বিপ্লবের’ ডাক তালেবানপন্থি মাওলানা আবদুল আজিজের

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১, সোমবার, ১:০১ অপরাহ্ন

তালেবানপন্থি নেতা মাওলানা আবদুল আজিজ প্রকাশ্যে পাকিস্তানে ‘ইসলামিক বিপ্লবের’ ডাক দিয়েছেন। পশ্চিমা সমর্থিত সরকারকে তালেবানরা গত মাসে উৎখাত করার পর পাকিস্তানেও উগ্র নেতারা উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। তারই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে আবদুল আজিজের এই আহ্বানে। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, আল্লাহর ইচ্ছায় (আফগানিস্তানে) তালেবানরা ক্ষমতায় এসেছে। সারা বিশ্ব দেখেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার অহংকারকে পরাজিত করেছে তালেবানরা। নিউ ইয়র্ক টাইমসকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য কাবুল টাইমস।

আবদুল আজিজ আরো বলেছেন, এর ফলে পাকিস্তানে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠায় আমাদের লড়াইয়ের ওপর একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে নিশ্চিতভাবে। কিন্তু আমাদের সফলতা রয়েছে আল্লাহর হাতে।

অনলাইন কাবুল টাইম লিখেছে, পাকিস্তানে ইসলামপন্থি মিলিট্যান্ট গ্রুপগুলোকে ফুলেফেঁপে উঠতে বড় ভূমিকা রেখেছে সেখানকার মাদ্রাসাগুলো। উগ্রবাদীদেরকে এসব মাদ্রাসায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
তাদের টার্গেটে রয়েছে ভারত, পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলো। এতে আরো বলা হয়, পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত মাদ্রাসাগুলো থেকে বিস্তার লাভ করেছে আফগানিস্তানের তালেবান আন্দোলন ও লস্করে তৈয়বা। লস্করে তৈয়বা হলো ভারত বিরোধী একটি বিদ্রোহী সহিংস গ্রুপ। তারা লালিত হয়েছে পাঞ্জাব প্রদেশের মাদ্রাসাগুলোতে। পাকিস্তানের ভিতরে এভাবে বেড়ে উঠা একটি গ্রপ পাকিস্তান তালেবান হিসেবে পরিচিত। তারা অনেক বছর ধরে পাকিস্তানি সরকারকে টার্গেট করে আছে এবং দেশের ভিতরে এখনও সক্রিয়।

রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী রেড মস্ক বা লাল মসজিদ ধর্মীয় উগ্রপন্থার একটি ঘাঁটি হিসেবে কাজ করছে। এখান থেকে ইসলামপন্থি উগ্র প্রচারণা চালানো হয়। ফলে একে বলা হয় এমন প্রচারণার ¯œায়ু কেন্দ্র। ২০০৭ সালে এই মসজিদ এবং এর সঙ্গে যুক্ত ইসলামিক সেমিনারি বা মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে সংবাদ শিরোনাম হয়েছিল। ওই সময় এই মসজিদের ভিতরে অবস্থান নেন সশস্ত্র মিলিট্যান্টরা। এতে সেখানে এক সপ্তাহ ধরে অচলাবস্থা চলতে থাকে।

এরপরই তাদের নিবৃত করতে পাকিস্তানি নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালায়। রক্তাক্ত হয় ওই মসজিদ। তখন থেকেই মাওলানা আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে বহু অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু কোনোটিতেই তাকে অভিযুক্ত করা হয়নি। গত মাস থেকে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে তিনি এবং তার অনুসারীরা জামিয়া হাফসা’র ছাদে তালেবানদের সাদা পতাকা পর্যায়ক্রমে উড়িয়েছেন। স্থানীয় অধিবাসীরা উদ্বেগ জানানোর ফলে গত ১৮ই সেপ্টেম্বর পুলিশ ওই এলাকায় তৃতীয়বারের মতো ঘেরাও করে। এ সময় মুখোশধারী শিক্ষার্থীরা ভবনের ছাদে উঠে যান এবং নানা রকম স্লোগান দেন। এর ফলে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তারা মনে করছেন, আফগানিস্তানের রাজধানী তালেবানরা দখল করে নেয়ার পর পাকিস্তানি তালেবানরাও দেশের ভিতরে একটি লড়াই শুরু করতে পারে।

তবে এখন তিনি ও তার অনুসারীরা কি পদক্ষেপ নেবেন তা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মাওলানা আবদুল আজিজ। শুধু বলেছেন, পাকিস্তানে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তারা অব্যাহতভাবে লড়াই চালিয়ে যাবেন। অতীতে তিনি প্রকাশ্যে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘ইসলামিক বিপ্লব’-এর ডাক দিয়েছিলেন। সম্প্রতি তারা তালেবানদের যে পতাকা উত্তোলন করেছেন তার মধ্য দিয়ে হয়তো সরকারের সঙ্গে কঠোর দরকষাকষি করতে চান। একই সঙ্গে সরকার ও পাকিস্তানি তালেবান কাবুলে কি ঘটছে সেদিকে দৃষ্টি রেখেছে।

পাকিস্তানের একজন মুসলিম প-িত মনে করেন, পাকিস্তানের বেশির ভাগ মানুষ পাকিস্তানি তালেবানদের অনুমোদন দেয় না। তিনি বলেন, মাওলানা আবদুল আজিজ এই মুহূর্তটিকে কাজে লাগাচ্ছেন। তার অবস্থান রাজধানী ইসলামাবাদে। এক্ষেত্রে সরকার এই গ্রুপটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ফলে সমমনা অন্য গ্রুপগুলোর সঙ্গে এক্ষেত্রে সহায়তা নিতে পারে সরকার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বয়স্ক শিক্ষার্থীরা মিউজিক স্টোরগুলোতে হামলা করেছে। সন্দেহজনক পতিতাদের অপহরণ করেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর