× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হেলমান্দে দাড়ি শেভে তালেবানদের নিষেধাজ্ঞা

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১, সোমবার, ৪:০৮ অপরাহ্ন

হেলমান্দ প্রদেশে হেয়ারড্রেসার বা নরসুন্দরদের প্রতি এবার নতুন ফরমান জারি করেছে তালেবানরা। কোনো পুরুষের দাড়ি শেভ বা ছেঁটে দেয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারা। বলেছে, এতে ইসলামিক আইনের লঙ্ঘন হয়। এই আইন যারা লঙ্ঘন করবেন, তাদেরকে শাস্তি দেয়া হবে বলে তালেবানদের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওদিকে রাজধানী কাবুলের অনেক নরসুন্দরও একই রকম নির্দেশ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

তালেবানদের এই নির্দেশ আবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে তাদের বিগত সময়কার ক্ষমতার কথা। তারা একটি উদার সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দিলেও ক্রমশ কঠোর থেকে কঠোর অবস্থানে চলে যাচ্ছে।
গত মাসে তারা ক্ষমতায় আসার পর বিরোধীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দিয়েছে। শনিবার তালেবান যোদ্ধারা কথিত চার অপহরণকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে। এরপর ওইসব মৃতদেহ পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাতের রাস্তায় ঝুলিয়ে দিয়েছে। এবার হেলমান্দ প্রদেশের সেলুনগুলোতে ঝুলিয়ে দিয়েছে নোটিশ। তাতে তালেবান কর্মকর্তারা সতর্কতা দিয়েছেন। তারা বলেছেন, চুল কাটা ও দাঁড়ি কাটার ক্ষেত্রে শরীয়া আইন অনুসরণ করতে হবে। এ নিয়ে কারো কোনো অভিযোগের অধিকার নেই।

রাজধানী কাবুলের একজন নরসুন্দর বলেছেন, তালেবান যোদ্ধারা আসছেন। যাচ্ছেন। আমাদেরকে নির্দেশ দিয়ে গেছেন দাড়ি না ছাঁটতে। তাদের একজন আমাদেরকে বলেছেন, আমরা নির্দেশ মানছি কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য ছদ্মবেশে লোক পাঠাবেন। শহরে সবচেয়ে বড় একটি স্যালুনের মালিক এমন একজন হেয়ারড্রেসার বলেন, তাকে সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে কেউ একজন ফোন করেছিলেন। তারা তাকে যুক্তরাষ্ট্রের স্টাইলে চুল কাটা বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, তালেবানরা ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রথম দফায় ক্ষমতায় ছিল। ওই সময় কট্টর ইসলামপন্থিদের পক্ষ থেকে অগোছালো, অতিরিক্ত চুল নিষিদ্ধ করে। বলেছে, পুরুষদের মুখে থাকতে হবে দাড়ি। নরসুন্দরা বলেছেন, নতুন আইনের অধীনে তাদের জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়ছে।  একজন বলেছেন, অনেক বছর ধরে যুব শ্রেণির পুরুষদের ইচ্ছেমতো আমার সেলুনে শেভ করা হতো। এতে তাদেরকে খুব ট্রেন্ডি দেখাতো। এখন যে নির্দেশ এসেছে তাতে এই ব্যবসা চালিয়ে নেয়া খুবই কঠিন । আরেকজন বলেছেন, ফ্যাশন বিষয়ক স্যালুন এবং নরসুন্দররা ব্যবসায় নিষিদ্ধ হয়ে পড়ছেন। তার ভাষায়, ১৫ বছর ধরে আমি এই পেশায়। এখন পেশা অব্যাহত রাখতে পারবো বলে মনে হয় না। হেরাতের এক নরসুন্দর বলেছেন, তিনি এখনও আনুষ্ঠানিক নির্দেশ পাননি। তা সত্ত্বেও তিনি দাড়ি ছাঁটা বন্ধ করে দিয়েছেন। কাস্টমাররা তাদের দাড়ি কাটতে চান না। তারা রাস্তাঘাটে তালেবান যোদ্ধাদের টার্গেটে পড়তে চান না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর