× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের পাশ থেকে মালিকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানাধীন একটি নির্মাণাধীন ৭ তলা ভবনের পাশ থেকে নেজাম পাশা নামে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ৬৫ বছর বয়সী এই বৃদ্ধকে হাত-পা বেঁধে খুন করে সেখানে সিমেন্টের খালি বস্তার ওপর রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গতকাল ভোর ৫টার দিকে খুলশী থানাধীন জালালাবাদ এলাকার ভিআইপি রোডের পাশের নির্মাণাধীন এই ভবনের পাশ থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, নিহত নেজাম পাশা ফটিকছড়ির উপজেলার ধুরুং এলাকার বাসিন্দা। তার ৫ সন্তানের মধ্যে দুই ছেলে প্রবাসে আর ৩ মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। নগরের খুলশি থানার জালালাবাদ এলাকায় কেনা জমিতে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করছিলেন তিনি। সেখানে হাসান নামে একজন কেয়ারটেকার ওই ভবনের দেখভাল করতেন।আর বৃদ্ধ নেজাম পাশা ফটিকছড়ি থেকে কিছুদিন পর পর এসে ওই নির্মাণ কাজের তদারকি করতেন। সর্বশেষ  রোববার সকালে ভবনের কর্মচারীদের বেতন দেয়ার জন্য তিনি সেখানে এসেছিলেন।
এরপর দুপুর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কেয়ারটেকার হাসানের মোবাইলও বন্ধ ছিল। এক পর্যায়ে গ্রাম থেকে তার পরিবারের সদস্যরা রাতে গিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও তার সন্ধান পাননি। সোমবার ভোরে মসজিদের মুসল্লিরা নির্মাণাধীন ভবনের প্রায় চল্লিশ গজ দূরে প্লাস্টিকে ঢাকা হাত বাঁধা নেজাম পাশার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। পরে পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল তৈরি করে মর্গে প্রেরণ করেন। নিহত নেজাম পাশার ভাই মাওলানা হামিদুল্লাহ মানবজমিনকে বলেন, ‘নেজাম পাশার সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত কোনো ঝামেলা ছিল না। তিনি খুব সাদাসিধে একজন মানুষ ছিলেন। তবে খুলশীর এই নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের কেয়ারটেকার হাসান তাকে একা পেয়ে বিভিন্নভাবে মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। বিশেষ করে পারভেজ নামে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাকে বাড়ির বিভিন্ন কাজ পাইয়ে দিতে চাইতো হাসান। নেজাম পাশা তার কথায় রাজি না হওয়ায় হাসান তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। হয়তো এই ক্ষোভ থেকেই সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’ এদিকে নিহত নেজাম পাশার ছেলে প্রবাসে থাকা হাইসম বলেন, ভবনের সাত তলার ঢালাই কাজ শেষ। শুরু থেকে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবি করে আসছিল। বাবা কোনোভাবে এক টাকাও দিতে রাজি ছিলেন না। স্থানীয় চাঁদাবাজরা চাঁদা না পাওয়াতে খুন করতে পারে। তবে নিহত নেজাম পাশার লাশের সঙ্গে থাকা ভাতিজা জাবেদ ওমর বলেন, ‘কেউ ওনার কাছ থেকে টাকা চেয়েছেন সেটি আমরা শুনিনি। তবে রোববার রাত ১০টার দিকে কেয়ারটেকার পরিচয়ে ওনার মোবাইল ফোন থেকেই একজন ফোন দিয়ে ওনার মেয়েকে মালামাল কিনতে ২০ হাজার টাকা পাঠাতে বলে ফোন কেটে দেন।’। এ বিষয়ে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান বলেন, ‘সকালে জালালাবাদ এলাকা থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আর এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
‘চাঁদা না দেয়ায় নেজাম পাশাকে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা খুন করেছে’ বলে প্রবাসে থাকা ছেলের দাবির বিষয়ে ওসি বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনিনি। পরিবারের লোকজনও এমন কিছু বলেননি। তবে বাড়ির কেয়ারটেকারকে ওনারা সন্দেহ করছেন। সে এখন পলাতক আছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর