সাল ২০১৮, উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের ম্যাচে নাপোলির মুখোমুখি প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ম্যাচের এক সময় প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে মেজাজ হারান নেইমার। ব্রাজিলীয় সতীর্থকে শান্ত করতে এসে ব্যর্থ হন থিয়াগো সিলভা। ঠিক পরের মুহূর্তেই নেইমারকে জড়িয়ে ধরে শান্ত করার চেষ্টা করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায় দুই সতীর্থকে। এই ঘটনাটাই নেইমার-এমবাপ্পের বন্ধুত্বের গভীরতা মাপতে যথেষ্ট। তাছাড়া মাঠে কিংবা বাইরে পিএসজির আক্রমণভাগের দুই সেনা সবসময়ই ক্যামেরার সামনে ধরা দেন খোশ মেজাজে।
তবে দিন দুয়েক ধরেই ফরাসি গণমাধ্যমগুলোতে শোনা যাচ্ছে নেইমার-এমবাপ্পের সম্পর্কের অবনতির খবর।
যার নেপথ্যে রয়েছে ফরাসি লিগ ওয়ানের সর্বশেষ ম্যাচের একটি ঘটনা।
শনিবার মঁপেলিয়ের বিপক্ষে খেলতে নামে পিএসজি। ২-০ গোলের জয়ে চলতি মৌসুমে নিজেদের জয় ধারা অব্যাহত রেখেছে লা প্যারিসিয়ানরা। ঘরের মাঠে ম্যাচটির এক পর্যায়ে নেইমারের কাছ থেকে একটি পাস চেয়ে পাননি এমবাপ্পে। মাঠে তখন ফরাসি তারকাকে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে এমবাপ্পেকে উঠিয়ে নেন কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো। বেঞ্চে বসে সতীর্থ ইদ্রিসা গুয়ের সঙ্গে আলাপ করতে দেখা যায় এমবাপ্পেকে। ফুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইট গোল ডট কমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এমবাপ্পে বলেছিলেন, ‘সে (নেইমার) আমাকে পাস দেয়নি।’
পরে দুই বন্ধুর সম্পর্কের অবনতি ও মানসিক লড়াইয়ের নানা খবর প্রকাশিত হয় ফরাসি গণমাধ্যমগুলোতে। দেশটির জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম লেকিপের দাবি, এমবাপ্পে নেইমারকে ‘ভিক্ষুক’ বলে সম্মোধন করেছে।
ঘটনার কিঞ্চিৎ সত্যতা পাওয়া যায় পিএসজি কোচ পচেত্তিনোর কথার ইঙ্গিতেও। তবে মাঠে এসবকে স্বাভাবিক বলেই মনে করেন তিনি। একইসঙ্গে জানিয়েছেন মামুলি ঘটনাকে বড় করে দেখিয়েছে গণমাধ্যমগুলো।
পচেত্তিনো বলেন, ‘তারা দুজনই দারুণ ছেলে। শীর্ষ দুজন খেলোয়াড়ের ভেতর সবসময়ই কিছু একটা থাকে। তারা তুমুল লড়াকু, নিজেরা জিততে চায় এবং দলের অর্জন চায়।’
পচেত্তিনো জানান, সবই এখন স্বাভাবিক। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে দু’জনের সঙ্গেই কথা বলেছি। তারাও হয়তো পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেছে এবং ট্রেনিংয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে উপভোগের ছবি দেখা গিয়েছে। অনেক সময় ছোট ঘটনাই বড় ঝড় তোলে কিন্তু এসব শুধুই গুজব।’