× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মুক্তি পেলেন ঝুমন দাশ

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(২ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১, মঙ্গলবার, ৮:৫৩ অপরাহ্ন

জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ঝুমন দাশ (২৫)।  আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে তিনি সুনামগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পান। গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট কিছু শর্ত সাপেক্ষে তাকে জামিন দেন। ৬ মাস ১২ দিন কারাবাসের পর কারাগার থেকে বের হয়েই ঝুমন দাশ তার মা নিভারানী দাশকে জড়িয়ে ধরেন। মায়ের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেন। নিভারানী দাশ তখন ছেলের কপালে চুমো খান। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

মুক্তির পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ঝুমন দাশ প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান এবং বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করেন। কারা ফটকে ঝুমন দাশের মা নিভারানী দাশ বলেন, ছয় মাস ধরে ছেলের মুখ দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। আজ সেই আশা পূরণ হলো।

খুব কষ্টে দিন গেছে, বলে বোঝাতে পারব না। ঝুমন মুক্তি পাওয়ায় আমি খুশি। তবে নিঃশর্ত মুক্তি পেলে আরও বেশি খুশি হতাম।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ঝুমন দাশ গত ১৭ মার্চ থেকে সুনামগঞ্জ কারাগারে ছিলেন। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে।

হেফাজতে ইসলামের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হক গত ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা শহরে এক সমাবেশে বক্তব্য দেন। মামুনুল হকের ওই বক্তব্যের সমালোচনা করে পরদিন ১৬ মার্চ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগ তুলে ১৭ মার্চ সকালে নোয়াগাঁওয়ে আশপাশের তিনটি গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে মানুষের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।

 এ ঘটনায় ঝুমন দাশকে ১৬ মার্চ রাতেই আটক করে পুলিশ। পরদিন তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে আদালতের আদেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ২২ মার্চ শাল্লা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করে পুলিশ। পরে তাঁর মুক্তির দাবিতে সুনামগঞ্জ, সিলেট, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালিত হয়। দেশের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ তাঁর মুক্তির দাবি জানান। সুনামগঞ্জে ঝুমন দাশ একাধিকবার জামিনের আবেদন করলেও তার জামিন হয়নি। পরে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর