কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে মেসার্স মহিমা এন্টারপ্রাইজ নামক এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকার টেন্ডারের দরপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরের দিকে সালুয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদ খননে কুলিয়ারচর অংশের বালু-মাটি ইজারা নিয়ে টেন্ডারের দরপত্র জমা দেয়ার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়াৎ ফেরদৌসীর অফিসে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, গত ১৩ই সেপ্টেম্বর উপজেলার সালুয়া ইউনিয়ন ব্রহ্মপুত্র নদ খননে বালু-মাটির টেন্ডারের দরপত্র আহ্বান করে উপজেলা নির্বাহী অফিস। টেন্ডারে বালু-মাটির ইজারা মূল্য ধরা হয়েছে ৩৯ লাখ ৬৬ হাজার ৭৮ টাকা। দুই দফায় আশানুরূপ দরপত্র পাননি উপজেলা নির্বাহী অফিস। পরে পুনরায় তৃতীয় বারের মতো টেন্ডার আহ্বান করা হলে মেসার্স রতন এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মহিমা এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স চাঁদনী এন্টারপ্রাইজ শিডিউল ক্রয় করে। তিনটি শিডিউলের মধ্যে মেসার্স রতন এন্টারপ্রাইজের একটি শিডিউল জমা পড়ে। মেসার্স চাঁদনী এন্টারপ্রাইজ শিডিউল জমা দেয়নি।
ওই দরপত্র জমাদানের শেষ সময়সীমা ছিল সোমবার। ওই দিন দুপুর ১টার আগেই ক্রয়কৃত শিডিউল জমা দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাওয়ার সময় মেসার্স মহিমা এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মো. রেনু মিয়াকে বাধা দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ওই দরপত্রটি বাক্সে জমা দেয়ার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ইয়াছির মিয়ার শরণাপন্ন হলে তিনি তার পিএস মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনকে মেসার্স মহিমা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি হিসেবে দরপত্র জমা দিতে পাঠায়। দরপত্র জমা দিতে গেলে তার কাছ থেকে ওই দরপত্রটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে ওই দিনই ছিনতাইয়ের ঘটনায় মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ইউএনও অফিসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণ করে পরীক্ষা করে ছিনতাইকারীদের বিচারের দাবি জানান সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ইয়াছির মিয়া জানান, মহিমা এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মো. রেনু মিয়া টেন্ডারের দরপত্র জমা দিতে গেলে তাকে বাধা দেয়ার পর তিনি আমার বাসায় আসেন। পরে আমার পিএস মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনকে দিয়ে টেন্ডারের দরপত্র জমা দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠালে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।