× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সক্ষমতার চেয়ে ১০ গুণ বেশি আবেদন আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, বুধবার

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস বাদ দিয়ে কেউ যদি নিজ জেলা অথবা উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী অফিসে আবেদন করে তাহলে আগে পাসপোর্ট হাতে পাবেন বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী। তিনি বলেন, আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন যে সক্ষমতা রয়েছে, তার চেয়ে ১০ গুণ আবেদন জমা হচ্ছে। যে কারণে এখানে পাসপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে। আবার নানারকম ভুল-ভ্রান্তির কারণেও পাসপোর্ট আটকে থাকছে। গতকাল দুপুরে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ডিআইপি-পাসপোর্ট রিপোর্টার্স ফোরামের মতবিনিময় সভায় মহাপরিচালক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে এই মুহূর্তে প্রতিদিন পাসপোর্ট দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে প্রায় দুই হাজার। কিন্তু প্রতিদিন আবেদন পড়ছে কয়েকগুণ। আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়াও কম্পিউটারে অটো করা রয়েছে।
যার কারণে কেউ যখন আবেদন করে ওই দিনের শ্লট শেষ হয়ে থাকলে পরের দিনের শ্লট নিয়ে নেয় অটোমেটিক্যালি। পরের দিনেরটাও শেষ হলে তারপরের দিন পূরণ হবে। উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, এভাবে গতকাল যারা আবেদন করেছেন তারা শ্লট পেয়েছেন আগামী ২৬শে অক্টোবর পর্যন্ত। এই পদ্ধতিতে কারও হাত  নেই। ডিআইপি’র ডিজি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী আরও বলেন, আগারগাঁওয়ে যারা আবেদন করবেন তারা এভাবেই অনেক দিন পরে শ্লট পাবেন। কিন্তু তারা যদি আগারগাঁওয়ে না এসে যাত্রাবাড়ী বা উত্তরায় যান তাহলে এখানকার চেয়ে আগে পাসপোর্ট হাতে পাবেন। আবার কেউ যদি নিজ  জেলায় আবেদন করেন তাহলে সেখান থেকে আরও আগে পাসপোর্ট হাতে পাবেন। এ বিষয়ে উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি জানান, গতকাল পর্যন্ত উত্তরা পাসপোর্ট অফিসে যারা আবেদন করেছেন তারা শ্লট পেয়েছেন ৬ই অক্টোবর এবং যাত্রাবাড়ীতে যারা আবেদন করেছেন তারা শ্লট পেয়েছেন ৩রা অক্টোবর। আর জেলাগুলোতে পরের দিনই আবেদন ফরম জমা করা ও ছবি তোলার দিন ধার্য হচ্ছে। মহাপরিচালক বলেন, এ জন্য বলছি আপনারা পারলে নিজ জেলায় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করুন। যাদের তাড়াহুড়া আছে তারা আগেই পাসপোর্ট হাতে পাবেন। মেশিনে নতুন করে কমান্ড নির্ধারণ করার কোনো সুযোগ নেই। কমান্ড দিয়েই আমাদের মেশিন তৈরি। এখানে সবকিছু মিলে গেলে অটো পাসপোর্ট প্রিন্ট হয়ে যায়। যাদের পাসপোর্ট আটকে আছে তাদের কোনো না কোনো সমস্যা রয়েছে। তারা অফিসে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধান করে দিলে তবেই পাসপোর্ট প্রিন্ট  হবে। পাসপোর্ট রিপোর্টার্স  ফোরামের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ডিজির মতবিনিময়ের সময় সাধারণ জনগণের পাসপোর্ট সংক্রান্ত নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। ডিজি সবার সমস্যার কথা শোনেন এবং ভবিষ্যতে তা সমাধানের আশ্বাস দেন। এক প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, যতদিন পর্যন্ত শতভাগ ই-পাসপোর্ট দেয়ার ক্যাপাসিটি অর্জন সম্ভব হবে না ততদিন এমআরপি চালু থাকবে। তবে বাংলাদেশে আমরা এমআরপি নিরুৎসাহিত করছি। এখন যেসব এমআরপি  দেয়া হচ্ছে তার ৯৯ ভাগ প্রবাসী। প্রবাসীদের এইজন্য দেয়া হচ্ছে যে, ৭৫টি মিশনে এখনো ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু করা যায়নি। করোনা অনেকখানি পিছিয়ে দিয়েছে। এখনো অনেক দেশ অনুমতি দেয়নি আমাদের টিম পাঠানোর জন্য। বর্তমানে মাত্র পাঁচটি মিশনে ই-পাসপোর্ট দেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সাড়ে ১১ লাখ ই-পাসপোর্ট জনগণের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ অবস্থা  তৈরি না হলে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতো। একই সঙ্গে প্রায় সমপরিমাণ এমআরপি পাসপোর্ট দেয়া হয়েছে বলে জানান ডিজি। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিআইপি’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) সেলিনা বানু, পরিচালক (প্রশাসন) শিহাব উদ্দিন খান, উপ-পরিচালক, ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের অতিরিক্ত পরিচালক কর্নেল নুরুস সালাম, উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ইসমাইল হোসেন, উপ-পরিচালক (অর্থ) আল আমিন মৃধা, পাসপোর্ট রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আছাদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, সহ-সভাপতি জামিউল আহসান সিপু প্রমুখ।
 সাংগঠনিক সম্পাদক  নেহাল হাসনাইন, অর্থ সম্পাদক উজ্জল হোসেন জিসান ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জামিল খান।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর