ড্রেনেজ সংকটে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ার কারণে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) প্রশাসনিক ভবন-১ ও প্রশাসনিক ভবন-২ এর মাঝামাঝি জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এই পানিতে জন্ম নিচ্ছে টাকি, কই, শিংসহ নানা দেশীয় প্রজাতির মাছ। রয়েছে সাপসহ নানা প্রজাতির সরীসৃপ।
একই অবস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হল সংলগ্ন ঝোপঝাড় ও পুকুরের। হলটির সেকশন অফিসার মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, আগামী ৪ঠা সেপ্টেম্বর হল খোলা উপলক্ষে সবকিছু পরিষ্কার করা হচ্ছে। কিন্তু পাশের পুকুড় সংলগ্ন ঝোপঝাড়ে বড় বড় সাপের ভয়ে আমাদের লোকজন পরিষ্কার করার সাহস পায় না। তাই আমরা যতটুকু পারছি পরিষ্কার করাচ্ছি। বাকিগুলোতে আগাছা দমনের কীটনাশক স্প্রে করা হবে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রমোদ ভ্রমণ ও শরতের কাশফুল দেখতে বিভিন্ন যায়গা থেকে প্রতিনিয়ত লোকজন ছুটে আসছেন। বিভিন্ন সময় তারাও নানা বিষধর সাপ দেখেছেন।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন আগাছা দমনে নিযুক্ত থাকা লোকজন।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসার মোঃ সাইদুজ্জামান বলেন, আমাদের পরিচ্ছন্নতার কাজ চলমান। প্রত্যেকদিনই আমাদের মাঠে কাজ চলছে। আমাদের গার্ডেনার যারা এবং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক যারা আছেন সবাই কাজ করছেন। হয়তো বর্ষাকাল তাই টুকটাক সমস্যা থাকতে পারে। তবে আমাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
২৪শে আগস্ট প্রকাশিত বাৎসরিক ক্রয় পরিকল্পনায় (এপিপি) রাখা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ ও ২ এর এপ্রোন ড্রেন। যেখানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ লাখ টাকা। জানা যায়, আগামী ১৫ই নভেম্বর দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে কাজটি শুরু করতে চায় প্রশাসন।