তিরিশ-বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট-এর বাড়িতে নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, ভবানীপুর উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ তার এগিয়ে যাওয়ার খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে মাঝে মধ্যে টিভি চালিয়ে শুধু ক'টা রাউন্ড হয়েছে সেই খবর নেন। কালীঘাটের বাড়িতে বেলা ১০টা থেকেই জনতার ঢল নামে। সবুজ আবির খেলা শুরু হয়। মমতা তখনও ঘরবন্দী। শুধু কাপের পর কাপ চা খেয়ে চলেছেন। কোভিড বিধি শিকেয় তুলে মমতার বাড়ির সামনে তখন জয়োল্লাস। ঠিক আড়াইটার কিছু আগে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে মমতা আটান্ন হাজার হাজার আটশো বত্রিশ ভোটে জিতেছেন ঘোষণা করার পর মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির বাইরে এলেন।
পরনে সাদামাটা মিলের শাড়ি। এক পাশে বিধাননগরের পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের প্রধান কৃষ্ণা চক্রবর্তী। অন্যদিকে ভাই কার্তিক বন্দোপাধ্যায়ের স্ত্রী। মমতার বক্তব্য, ভবানীপুরের মানুষের কাছে তিনি ঋণী। তিনবার তাকে জেতালো ভবানীপুর। এদিন মমতা বাকি উপ নির্বাচনের প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা করেন। মমতা জানান, সিবিআই, ইডি দিয়ে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলকে কিছু করা যাবে না। তৃণমূলের বিজয়রথও থামানো যাবে না।