× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কলকাতা কথকতা /ইস্যুবিহীনতা, মোদির কারিশমার ঘাটতি, মমতা ম্যাজিকে তৃণমূলের সার্বিক প্রাধান্য, বিজেপির পদস্খলন

কলকাতা কথকতা

জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
(২ বছর আগে) অক্টোবর ৪, ২০২১, সোমবার, ১:৫৭ অপরাহ্ন

বিধানসভা ভোটে প্রার্থিত দুশো অঙ্কে পৌঁছাতে না পারলেও বিজেপি ৩ থেকে ৭৭ আসনে পৌঁছেছিল। বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস ৪৭.৯ শতাংশ ভোট পেলেও বিজেপি পেয়েছিল ৩৮.১ শতাংশ ভোট। সেখান থেকে এক ভবানীপুরেই তারা নেমেছে ২২.২৯ শতাংশে। ভবানীপুরে বিজেপি ছিল ৩৫ শতাংশ। তিনটি উপনির্বাচন ধরলে শতাংশের বিচারে বিজেপি আরও নিচে। অর্থাৎ গলিঅথদের দেশে বিজেপি কার্যত লিলিপুটে পরিণত হয়েছে। কিন্তু, বিজেপিকে কেন্দ্র করে বাংলায় যে সাইক্লোনের পূর্বাভাস দেখা গিয়েছিল তা গেল কোথায়? বিশিষ্ট রাজনৈতিক সমীক্ষক অধ্যাপিকা মহানন্দা কাঞ্জিলালের মতে বঙ্গ বিজেপির নীতিপঙ্গুত্ব যদি একটা কারণ হয় তাহলে গড়পড়তা বাঙালির সার্বিক মূল্যবোধের ক্রমাবণতি একটা বড় কারণ বিজেপির এই অবস্থার। বিজেপি বর্তমান তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে এই নির্বাচনে, কিন্তু বাঙালির চরিত্রে মূল্যবোধ এতটাই পরিবর্তিত হয়েছে যে দুর্নীতি কিংবা সন্ত্রাস তাদের স্পর্শ করেনা।
এটাও একটা বড় কারণ। এছাড়াও বাঙালির জাত্যাভিমান একটা বড় ভূমিকা নিয়েছে বলে মনে করেন অধ্যাপিকা কাঞ্জিলাল। বিজেপি অবাঙালিদের দল। এই মানসিকতাও বিজেপি বিরোধী একটা হাওয়া তৈরি করেছে।

বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক সমরেন্দ্র দাস বাস করেন ভবানীপুরের ৭২ নন্বর ওয়ার্ডে। তাঁর মতে পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়াটা যেমন একটা কারণ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির, তেমনই রান্নার গ্যাস এর দাম বেড়ে যাওয়াটা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ওপর রোষের জন্ম দিয়েছে মেয়েদের মনে। ফলে তারা রাজ্য বিজেপিরও বিরোধী হয়ে গেছে। মোদির এই নীতিগুলির পাশাপাশি মমতা বন্দোপাধ্যায় এর লক্ষীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, দুয়ারে সরকার প্রভৃতি প্রকল্পের সুবিধা মানুষ প্রত্যক্ষ ভাবে পাওয়ায় তার একটা প্রভাব পড়েছে বিপক্ষের মধ্যে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড : অনিন্দ্য মিত্রর মতে বাঙালি মমতার মধ্যে পাশের বাড়ির, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো মেয়েটিকে খুঁজে পায়। ইচ্ছাপূরণের তাগিদে সাত কিংবা আটের দশকে প্রতিটি বাংগালি যুবকই যেমন অমিতাভ বচ্চন হয়ে উঠতো, ঠিক তেমনই গড়পড়তা বাঙালি নিজের মধ্যে মমতাকে দেখতে পায় বলেই তাঁকে ভোট দিয়ে জেতায়। বঙ্গ বিজেপিতে একজনও এমন লোক নেই। মমতা বন্দোপাধ্যায় সম্পর্কে এবং তৃণমূল সম্পর্কে একটা রসিকতা চালু আছে- তৃণমূলে একটাই পোস্ট বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। তা হয়ত নয়, কিন্তু ভোট এলেই মমতা ম্যাজিক যতটা কার্যকর হয় তাতে মনেই হতে পারে- তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে, সব গাছ ছাড়িয়ে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর