× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দেশের বাজার ছাড়িয়ে ২১ দেশে যাচ্ছে পান্না ব্যাটারি

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
৬ অক্টোবর ২০২১, বুধবার

দেশের ব্যাটারির চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে পান্না ব্যাটারি। ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানিটির সার্ভিস ও পণ্যের মান মন জয় করেছে ক্রেতাদের। পান্না ব্যাটারি একের পর এক আধুনিক পণ্য আনছে বাজারে। হচ্ছে ব্যাপক সমাদৃত। পান্না গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (সেলস ও মার্কেটিং) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অজয় কুমার দাশ। মানবজমিন-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেন পান্না ব্যাটারি লিমিটেডের সফলতার গল্প।
তিনি বলেন, পান্না গ্রুপ বর্তমানে বাংলাদেশের সব থেকে বড় ব্যাটারি ইন্ডাস্ট্রিজ। আমরা বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের ২১টি দেশে ব্যাটারি রপ্তানি করছি।
১৯৮০ সালে এই কোম্পানিটি শুরু করেন মো. লোকমান হোসেন। বর্তমানে আমরা বিভিন্ন প্রকার ব্যাটারি বিক্রি করে থাকি। আমরা বলি ইভি (ইলেকট্রিক ভিয়াক্যাল)। সাইকেল, রিকশা, বাস, ট্রাক, ট্যাক্সি, সিএনজি, ট্রাক্টরসহ যেকোনো ধরনের যানবাহনে ব্যবহারযোগ্য ব্যাটারি আমরা সরবরাহ করে থাকি। পাশাপাশি আমাদের সোলার ব্যাটারি, বাসাবাড়ির আইপিএস ব্যাটারি এগুলো বহুল প্রচারিত ও বিক্রীত। পান্না গ্রুপের ব্যাটারি দুই প্রকারের। একটি এলএম (লো মেইনটেনেন্স) ব্যাটারি। এতে পানি দিতে হয়। আরেকটা হচ্ছে এসএমএফ (সেলফ মেইনটেন্স ফ্রি) ব্যাটারি। সেখানে পানি দেয়ার প্রয়োজন হয় না। এটা একবার কেনার পর পানি দেয়ার ঝামেলা আর থাকে না। এটা আমাদের একটা আবিষ্কার এবং সংস্করণ। এ ছাড়াও আমরা একটি ব্যাটারি বর্তমানে এনেছি। এই ব্যাটারি ব্যবহারে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ইঞ্জিন অটো বন্ধ হয়ে যাবে। বন্ধ হলেও গাড়ির এসি চালু থাকবে। কিন্তু তেল খাবে না। এটার নাম ‘অটো স্টপ’ ব্যাটারি। বাংলাদেশে এখনো প্রচলিত না হলেও সামনে এর ব্যাপক বাজারজাত হবে।  
অজয় কুমার দাস বলেন, পান্না গ্রুপের বর্তমান ডিলার সংখ্যা প্রায় ২৫০০। আমাদের পিবিএল, এলবিএল, এমকে এই তিনটা গ্রুপ বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করছে। তাদের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে আছে। ব্যাটারি ব্যবসার কঠিনতম দিক হচ্ছে সার্ভিস প্রভাইড করা। কারণ অন্য কোনো ব্যবসায় এত সার্ভিস দেয়ার প্রয়োজন থাকে না। ব্যাটারি ব্যবসায় যেহেতু ৬ মাস, এক বছর কিংবা দুই বছরের জন্য গ্যারান্টি দেয়া থাকে সেজন্য ব্যাটারি বিক্রি করার থেকেও অতি জরুরি সার্ভিস প্রভাইড করা। আমাদের ১২৫ জনের একটা সুদক্ষ দল আছে। যারা শুধু বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের ১২টা ডিপো ও ১৬টা সার্ভিস সেন্টার আছে। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা ২৪ ঘণ্টা সেবা দিয়ে থাকি। এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা। আমাদের সেলস এবং সার্ভিসের কারণেই পান্না গ্রুপের ভলভো ব্যাটারি এখানে ভালো করছে। আগামীদিনে ভলভো মানুষের জীবন যাত্রাকে আরও মসৃণ করবে।
অজয় কুমার দাশ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাটারি রপ্তানি করতে চাই। আমাদের ব্যাটারি বিপুল  সুনাম পেয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি সহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থায়। আমরা চাই দেশের চাহিদা মিটিয়ে আরও ব্যাটারি রপ্তানি করতে। বাংলাদেশকে ব্যাটারিতে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে চাই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর