× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয়ে রেকর্ড

এক্সক্লুসিভ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
৬ অক্টোবর ২০২১, বুধবার

তৈরি পোশাকের ওপর ভর করে দেশের পণ্য রপ্তানিতে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। করোনা মহামারির মধ্যে সদ্যসমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে ৪১৬ কোটি ৫৫ লাখ ডলার বা ৩৫ হাজার ৬১৪ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৮ শতাংশ বেশি। গত বছর সেপ্টেম্বরে ৩০২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। দেশের রপ্তানির ইতিহাসে কোনো একক মাসে এত বেশি পরিমাণে রপ্তানি এর আগে কখনো হয়নি। সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইপিবি’র তথ্য বলছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রপ্তানি আয় ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। জুলাই- সেপ্টেম্বর সময়ে এক হাজার ১০২ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
যা আগের বছরের তুলনায় ১১.৩৭ শতাংশ এবং রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫.৬৫ শতাংশ বেশি। ইপিবি’র পরিসংখ্যান বলছে, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত তৈরি পোশাক ও বিশেষত নিটওয়্যার পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। এ ছাড়া চামড়া ও চামড়াপণ্য, কৃষি, প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় ফেরার কারণেই সার্বিকভাবে পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর শেষে ৯০৫ কোটি ৯৪ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে নিটওয়্যার পণ্য রপ্তানি করেছে ৫১৬ কোটি ৪২ লাখ ডলার, এ খাতের প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৬ শতাংশ। আর ওভেন পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৩৮৯ কোটি ৫২ লাখ ডলারের, এই খাতে প্রবৃদ্ধি ৬.৩৫ শতাংশ।
ইপিবি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর শেষে কৃষিপণ্য রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়ে ৩৪ কোটি ৪৫ লাখ ডলার হয়েছে। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির আয় বেড়েছে ১৭.৫ শতাংশ। তিন মাসে এ খাতে আয় হয়েছে ৩ কোটি ৭ লাখ ডলার। আলোচিত সময়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি আয়েও প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ সময় চামড়াজাত খাত থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ২৭ কোটি ১৩ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ বেশি।
বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ২০২০-২০২১ সালের তুলনায় চলতি ২০২১-২২ নেতিবাচক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এখন করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য চালু হয়েছে। পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। এ ছাড়া ভারত, মিয়ানমার ও ভিয়েতনামে পোশাকের ক্রেতা কিছুটা বাংলাদেশমুখী হতে থাকায় রপ্তানি ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। তরুণ উদ্যোক্তা ‘ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেড’-এর পরিচালক রুবেল বলেন, গতবছর মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তৈরি পোশাক খাত। এখন ওই ক্ষত কাটিয়ে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল হয়েছে, দোকানপাট খুলেছে, ফলে পোশাকের চাহিদা বাড়ায় নতুন অর্ডারও আসছে। এ কারণে রপ্তানি আয় বেড়েছে। এ ছাড়া সুতা, পণ্যের কাঁচামালের দাম ও উৎপাদন খরচ বাড়ার কারণেও রপ্তানি আয় বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে এ আয় স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় খুব বেশি নয় বলেও মনে করেন তিনি। তিনি জানান, ২০২০ সালে আমাদের পোশাক রপ্তানিতে ধস নামে। ওই বছর আমরা ৩৪ বিলিয়ন পোশাক পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করলেও রপ্তানি হয়েছে মাত্র ২৮ বিলিয়ন ডলার। যে কারণে গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এই বছর আয় বেশি দেখাবে। তবে ২০১৯ সালের সঙ্গে তুলনা করলে আয় খুব বেশি হবে না। রপ্তানির ইতিবাচক ধারায় ফেরার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছে বিজিএমইএ’র এই তরুণ উদ্যোক্তা। বলেন, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৩৫.১০ বিলিয়ন পোশাক রপ্তানির লক্ষ্য ঠিক করা হচ্ছে। আমাদের নতুন নতুন অর্ডার আসছে। আশা করছি এ লক্ষ্য পূরণ করতে পারবো।
ওদিকে এ সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি কমেছে। সেপ্টেম্বর শেষে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ২১ কোটি ২৩ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৭.৬৭ শতাংশ এবং গত বছরের একই সময়ের চেয়ে আয় ৩০.৯৭ শতাংশ কম।
ইপিবি’র তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জন্য ৪ হাজার ৩৫০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি করে ৩ হাজার ৮৭৬ কোটি ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর