× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মাদ্রাসার ৬ শিক্ষার্থীর চুল কাটলেন শিক্ষক

শিক্ষাঙ্গন

লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা
(২ বছর আগে) অক্টোবর ৮, ২০২১, শুক্রবার, ৮:০০ অপরাহ্ন

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার হামছাদী কাজির দিঘীর পাড় আলিম মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছয় ছাত্রের চুল কেটে দিয়েছেন সিনিয়র শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির। বুধবার ক্লাস চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে তারা ক্লাস না করেই মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে যায়। এতে ছাত্র ও অভিভাকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর জেলাজুড়ে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।

মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, বুধবার তাদের ইংরেজি ক্লাস চলছিল। এসময় হঠাৎ করে সিনিয়র শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির স্যার কাঁচি দিয়ে আমাদের ছয় ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেন। ঘটনার পর ছাত্ররা ক্লাস না করে বেরিয়ে যায়।
পরবর্তীতে মাদ্রাসাটির অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় ছাত্ররা তাদের ক্লাস শেষ করে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ছাত্র জানায়, ইংরেজি ক্লাসের প্রথম ঘণ্টা পড়ার পর হঠাৎ করে মঞ্জুরুল স্যার আমাদের (ক) শাখার ক্লাসে ঢুকে ছয় ছাত্রের চুল কেটে দেয়। কিন্তু (খ) শাখার কোন ছাত্রের চুল উনি কাটেনি। আমি মাথা ন্যারা করায় চার দিন মাদ্রাসায় যায়নি। পরে স্যার দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন।

মাদ্রাসার শিক্ষক মঞ্জুরুল কবিরের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি দাখিল শ্রেণীর সকল ছাত্রকে পরীক্ষার আগের দিন চুল কেটে মাদ্রাসায় আসতে বলেছি। ছাত্ররা আমার কথার অবাধ্য হওয়ার কারণে কয়েকজন ছাত্রের চুল কেটে দিয়েছি। আমি ওদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে থাকা ও নীতি-নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়ার জন্যই চুল কেটে দিয়েছি। তবে আমি কাউকে কোন হুমকির দেয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। যদি সত্যতা পাওয়া যায় তা হলে বিধিমোতাবেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর