× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দুই ঢাবি শিক্ষার্থীকে মেরে হল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে

শিক্ষাঙ্গন

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
(২ বছর আগে) অক্টোবর ৯, ২০২১, শনিবার, ৫:৩৯ অপরাহ্ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রথম বর্ষের দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই বর্ষের ৬ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার সন্ধ্যায় হলের পুকুর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীরা হলেন, অর্থনীতি বিভাগের রেহমান খালিদ এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আরফাত রহমান শৈশব। তাদের মধ্যে রেহমান ছাত্র ইউনিয়ন এবং আরফাত ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
অভিযুক্ত ৬ ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে দু’জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মিম্মুর সালিম পরাগ এবং প্রিন্টিং এবং পাবলিকেশন্স স্টাডিজ বিভাগের সোপান। তারা দু’জনই হল ছাত্রলীগের সহ সভাপতি কামাল উদ্দীন রানার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

অভিযোগের বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরফাত রহমান শৈশব জানান, জহুরুল হক হলের মাঠে আমাদের সঙ্গে একটি ব্যাচের খেলা ছিলো। খেলা শেষ করে আমি এবং বন্ধু খালিদ পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়েছি। এরই মধ্যে অভিযুক্তরা জানতে পারে আমরা হলে ঢুকেছি।
কারণ ফেসবুকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করার কারণে তারা আমাদের রাজনৈতিক পরিচয় জানতো। একটু পর পরাগ, সোপানসহ আরও চারজন এসে খালিদকে সার্চ করা শুরু করে। এরপর তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে থাপ্পড় দেয়। আমি সামান্য দূরে ছিলাম। ঘটনা দেখে দৌঁড়ে এসে খালিদকে কেন মারা হচ্ছে জিজ্ঞেস করি। পাশ থেকে আরেকজন আমাকে দেখিয়ে বলে এ ছাত্রদল করে। এরপর তারা আমাকেও খারাপ ভাষায় গালাগাল করে মারা শুরু করে। মারতে মারতে তারা আমাদের শার্ট ছিড়ে দেয়। এরপর আমাদের হল থেকে বের করে দেয়।

শৈশব বলেন, ঘটনার পর আমরা দুই জন প্রক্টর (অধ্যাপক ড এ কে এ গোলাম রাব্বানী) স্যারকে বিষয়টি জানিয়েছি। স্যার বলেছেন, তোমরা এটি আর কাউকে জানায়ওনা। আমি সমাধান করে দিবো।
অভিযোগের বিষয়ে মিম্মুর সালিম পরাগকে ফোন দেয়া হলে তিনি প্রতিবেদকের পরিচয় শুনে ফোন কেটে দেয়। এরপর আবার ফোন দেয়া হলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে আরেক অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সোপান বলেন, ঘটনা পুরোপুরি উল্টো। তাদের সঙ্গে হলের করিডোরে আমাদের প্রথম দেখা হয়। আমাদের সাথে কথা শেষ করে তারা পুকুর পাড়ের দিকে যায়। এসময় দেখি তাদের একজন সিগারেট খেয়ে আমাদের হলের পরিবেশ নষ্ট করছে। তাই আমি তাকে সিগারেট খেতে নিষেধ করি। এসময় তার সাথে থাকা আরফাত আমার সাথে খুব উগ্র আচরণ করে। একপর্যায়ে সে আমার উপর চড়াও হয়। তখন আমরা তাদের আঘাত প্রতিহত করার জন্য যা দরকার করেছি। এরপর তাদেরকে আমরা হল থেকে বের করে দেই। এ বিষয়ে হলের ছাত্রলীগ নেতা কামাল উদ্দীন রানা বলেন, ঘটনাটা আমি শুনিনি। আমি খোঁজ নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, তারা আমাকে অবহিত করেছে। যেহেতু এটি হলের ভিতরে ঘটেছে তাই হল প্রভোস্টকে অবহিত করেছি। তিনি খতিয়ে দেখছেন। তবে জহরুল হক হলের প্রভোস্ট দেলোয়ার হোসেনকে কয়েকবার চেষ্টা করেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর