× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তোমায় নিয়ে কথার পাহাড় বুকে

সেরা চিঠি


৯ অক্টোবর ২০২১, শনিবার

ব্যস্ত নগরী আজ বিষন্ন,পাতলা মেঘে আকাশ ছাওয়া। একটা ধূসর আলোয় ঢেকে আছে চারপাশ। কখনও কখনও হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি হচ্ছে। হয়তো ঐ আকাশ তার বিষন্ন মন নিয়ে কাঁদছে! পাঁচতলার বারান্দায় শূন্য মন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। নিচে তখন ব্যস্ত শহর ছুটছে। ছুটছে পায়ে হাঁটা অগণিত মানুষ, গাড়ি আর রিকশা। কর্মব্যস্ত নগরীতে ক্লান্ত মানুষগুলোর ঘরে ফেরার পালা তখন।

উপরের এই ঝিম ধরা আকাশ আর মেঘের সাথে নিচের শহরের কোন মিল নেই।
ঐখানে মানুষ নয়, যেন ছুটে চলছে স্বপ্ন। প্রতিটা মানুষ স্বপ্নের পাহাড় নিয়ে ছুটছে। ঠিক আমিও যেমন মাহরিনকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে নিরন্তর ছুটছি। তেমারি ঐ চেহারা আমাকে শত ব্যস্ততার মাঝে থেকেও বের করে আনে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো। আমার বুকের ভেতর কথার পাহাড় জমিয়ে রেখে শেষে, আর সেই পাহাড় ভাঙার সাহস পেলাম তোমার কাছে এসে, এই পাহাড় ভাঙার সাহস তোমার কাছে গিয়ে সরাসরি না পারলেও ভার্চ্যুয়ালি হয়তো কিছুটা পেরেছি। কারণ এ শহরে একেকটা দিন, কত সম্ভাবনাহীন, এখানে...ফুরিয়ে...যায়, জন্মের আগেই মৃত পাখি, ঐ উড়ে যাচ্ছে তার অজানায়! যে যার মতন চলে যায়, মেঘ যায়, পাখি যায়, আমার কোথাও যাওয়া হয় না, অবসন্নতায় আর তোমায় ভেবে।

আমাদের জীবনে আমরা যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই আর যাহা পাই তাহা চাই না। আমার মন হয়তো ভুল করেই এই সঠিক তোমাকে চেয়েছে। তোমার জন্য আমি চির চলমান, অবস্থানে কিংবা অস্থিতে কোথাও স্থির হয়ে থাকিনি। অনাদী থেকে আনন্তকালের যে অসীম পথের বিস্তার আমি তারই পথিক হয়ে থাকবো তোমার জন্য। মনের প্রেরনা তাগিদ দিচ্ছে তোমার মনের কোনে একটু জায়গা দখল করার। তাই হয়তো নিজেকে বদলে চলেছি নিরন্তর। বাহিরের আমি নিত্য নতুন নতুন রূপে আবিষ্কার করি ভেতরের আমিকে। নিজেকে নতুন করে গড়বো বলে নিজের মাঝে অবিরাম ভাঙা আর গড়ার খেলা চলে। মাঝে মাঝে অস্থির হয়ে যাই। বদ্ধ জলাশয় হওয়াটা কখনোই জীবনের লক্ষ্য নয়। মনে সবসময় জেগে থাকে তোমার কামনা। নদীর স্রোতের মত যখন বাধাহীন স্বাধীনতা পেয়ে যাই তখন হৃদয় চলে ঝর্ণার মতো। আর এ স্বাধনীতা থেকে বেরিয়ে আমি তখন তোমার কাছে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হতে চাই। এটাই আমার সর্বোওম সুখ।

বিশাল এই পৃথিবীর সব গল্প...বিচ্ছেদের নয়, এ যেমন নদী মরে গেলে দুই তীর এক হয়! হয়তো কোন একদিন তোমাকে ছেড়ে যাওয়ার রাস্তাটা তুমি তৈরি করে দিবে, কিন্তু আমি সে-রাস্তায় তোমার পায়ের ছাপ দেখে আবার ফিরে আসবো। আর তখন তোমাকে পেয়ে মাথা যত উঁচুতে থাকুক, তার ভর থাকবে দুই পায়ের উপর। পৃথিবীর সফলতার প্রতিটি গল্প-শেষ হবে শূন্যতায়। আর এ শূন্যতা নিয়ে অসুখী মানুষ যখন ঘুমায় তখনও তার চেহারায় দুঃখ জেগে থাকে। আর ঠিক হয়তো তোমাকে হারিয়ে আমার ঘুমন্ত চেহারাতেও তখন দুঃখ জেগে থাকবে।

সঙ্গহীন জীবন অর্থ নিরানন্দ ভুবন। তোমার জন্য বেসামাল পথকে কখনও বেসামাল পথ মনে হয়নি। তোমার দৃষ্টিতে আমি হয়তো মূল্যহীন হবো। কিন্তু আমি তোমার সাথে অতিভক্তি করতে চাই। আর অতিভক্তি নাকি চোরের লক্ষণ। ঠিক আমিও তোমার প্রেম আর মনের একজন প্রতিষ্ঠিত চোর হতে চাই..!

জীবনে প্রেম কখনো উপসর্গহীন কোভিডের মতো। বুঝে ওঠার আগেই সর্বাঙ্গ জড়িয়ে ধরে, মন ও মগজ নিবিড়ভাবে নিজের করে নেয়, পৃথিবীর কিছু অনিয়ম যেমন গিলে খায় দিশেহারা মানুষের ফুসফুস, হৃদয়। আর এই অনিয়মে অনেকে অনেক প্রিয়জনকে হারায়। ভালোবাসার আইসিইউ না পেয়ে মারা গেছেন অনেকের অনেক ভালোবাসার মানুষ, মরে/চলে গেছে অনেক প্রেম। এই মহামারি না এলে বিষয়টা অজানাই থেকে যেতো! কিন্তু আমি হয়তো তোমার জন্য সব ধরনের আইসিইউ মুহূর্তে রেডি করে নিবো তোমাকে হারানোর ভীষণ ভয়ে!

পৃথিবী যেমন সূর্যের চারদিকে ঘোরে, মানুষের জীবনটাও একটা সাইকেলের (বৃত্ত) মধ্যেই ঘোরে। যে সাইকেলে আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না, ভাগ্য, রিজিক নির্দিষ্ট। চাইলেও এর থেকে বের হওয়া যাবে না। এই চিরন্তন সত্য যত তাড়াতাড়ি বুঝে আসে, ততই পরবর্তী জীবনমানে আসবে উচ্ছ্বাস, দূরীভূত হবে অবসাদ।’

এ জগতে আমাদের জীবনটা বড়ই অদ্ভূত। কষ্ট না পেলে বুঝি না- কাকে সুখ বলে, কোলাহলে না গেলে বুঝি না নীরবতার কি শান্তি, কেউ আমাদের ছেড়ে চলে না গেলে বুঝি না তার উপস্থিতির কি গুরুত্ব ছিল আমাদের কাছে! কিন্তু তুমি এসবের সবকিছু বুঝো বলে আমি বিশ্বাস করি!

তুই চিরদিন তোর দরজা খুলে থাকিস,
অবাধ আনাগোনার-হিসেব কেন রাখিস?
সাক্ষাৎ আলাদিন, তোর প্রদীপ ভরা জিনে
কেন খুঁজতে যাস, আমায় সাজানো ম্যাগাজিনে?

মো.- ফজলে রাব্বী
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর