× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কলকাতা কথকতা /এপার বাংলায় চাহিদা আছে বাংলাদেশের কন্টেন্টের, জোগান নেই বাণিজ্যিক কারণেই

কলকাতা কথকতা

জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
(২ বছর আগে) অক্টোবর ১০, ২০২১, রবিবার, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন

বেশ কয়েক বছর আগে কলকাতার তাজ বেঙ্গল হোটেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করেছিলাম, আমরা দু’বাংলার মানুষ একই ভাষায় কথা বলি, একই ভাষায় ভাবের আদান-প্রদান করি। কিন্তু ভারতের পত্রপত্রিকা বাংলাদেশে যায় না কেন, কেন আমরা এদেশে বসে বাংলাদেশের পত্রিকা পড়তে পারি না? শেখ হাসিনা গুরুত্ব দিয়ে প্রশ্নটি শুনেছিলেন। পাশে বসা আমলাদের বিষয়টি নিয়ে নোট নিতে বলেছিলেন। কিন্তু, এত বছরেও কিছু হয়নি। বাংলাদেশের পত্রপত্রিকা এদেশে আসে না। নাটক কিংবা খবর দেখার জন্য ইউটিউব ভরসা। বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল এদেশে দেখানো হয় না। এখনতো বাংলাদেশেও বিধিনিষেধ সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান দুদেশে প্রায় বন্ধ।
একটা সময় ছিল যখন বুস্টার এন্টেনা লাগিয়ে বাংলাদেশের চ্যানেল দেখা যেত। চ্যানেল আই, বৈশাখী টিভি বেশ জনপ্রিয় ছিল এপার বাংলায়। বাংলাদেশের নাটক দেখতে ড্রয়িংরুম গুলিতে ভিড় জমে যেত। এখন আর তা দেখা যায় না। বাংলাদেশের নিউজ চ্যানেল এপার বাংলায় দেখা যায় না, বাংলা নিউজ চ্যানেল ওপার বাংলায় দেখা যায় না। অথচ সেট টপ বক্সে দিব্বি আছে চাইনিজ চ্যানেল কিংবা আরবি চ্যানেল। ভারতে কি নিষিদ্ধ বাংলাদেশের চ্যানেল?
খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, এপার বাংলায় বাংলাদেশের কনটেন্ট এর চাহিদা আছে, কিন্তু বিদেশি চ্যানেলের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দিয়েছে ভারত সরকার। সম্প্রচারিত চ্যানেলটির নেটওয়ার্ক হতে হবে পাঁচ কোটি টাকা এবং বছরে আপলিংক ও ডাউনলিংক এর জন্য ভারত সরকারকে দিতে হবে ১৫ লক্ষ টাকা। এপার বাংলায় সম্প্রচারের জন্য এত টাকার ঝুঁকি নিতে চায় না কোন সংস্থা। তাই, ওপার বাংলার কন্টেন্টের চাহিদা থাকলেও জোগান নেই। গঙ্গা-পদ্মার সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন তাই দূরঅস্ত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর