বৃটেনে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হওয়ার এক মাস পর গত সোমবার রাতে ফাহাদের (২৭) মরদেহ বাড়িতে আসে। গতকাল সকালে রওশনাবাগ এলাকার দারুল উলুম মদিনাতুল ইসলাম মাদ্রাসা মাঠে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের নেকি পাড়ায় দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তার মরদেহ।
গত ১২ই সেপ্টেম্বর বৃটেনের ব্রিস্টল পুলিশ উড স্ট্রিটে একটি কক্ষ থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে। ডেনজিল ম্যাকজেনজি নামের এক বৃটিশ নাগরিকের সঙ্গে ফাহাদের লাশও উদ্ধার করা হয়। ব্রিস্টল পুলিশ এ ঘটনায় লোনাট ভ্যালেন্টাইন (২১) ও জ্যাকব (৪৫) নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। ব্রিস্টল পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তসহ অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষে করে একমাস পর ফাহাদের পরিবারের কাছে পাঠায়। এই এক মাস ব্রিস্টল পুলিশের অধীনে ব্রিস্টল হাসপাতালের হিমঘরে তার মরদেহ রাখা হয়।
গত ৮ই অক্টোবর বাদ মাগরিব সেখানকার একটি মসজিদে তার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। পরে গত রোববার বাংলাদেশের একটি বিমানে করে তার মরদেহ বাংলাদেশে লাশ পাঠায় ব্রিস্টল পুলিশ। জানা গেছে, ফাহাদ অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ব্যারিস্টার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি জমান বৃটেনে। কিন্তু স্বপ্নপূরণের আগেই ফিরে এলো লাশ হয়ে। ফাহাদের মৃত্যুতে গত একমাস ধরেই শোকের ছায়া প্রামাণিক পরিবারে। লাশ বাড়িতে আসার পর শুরু হয় স্বজনদের আহাজারি। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে দিশাহারা বাবা নাজমুল হোসেন প্রামাণিক। ফাহাদের বড় দুই বোন রয়েছে। ফাহাদের বাবা নাজমুল হোসেন প্রামাণিক ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।