রাজধানীর হাজারীবাগের মধুবাজার এলাকার একটি বস্তিতে মনির মোল্লা (৪৫) নামের এক গাড়িচালক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল সকালের দিকে ঘটনাটি ঘটে। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পঞ্চম স্ত্রী শিল্পী বেগম জানান, আমি বাসা বাড়িতে কাজ করি। সকালের দিকে আমি কাজের জন্য বাসা থেকে বের হয়ে যাই। পরে বাসায় এসে দেখি ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলে আছে আমার স্বামী। পরে দরজা ভেঙে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমার স্বামী পিজি হাসপাতালের এক চিকিৎসকের গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আমার স্বামী পাঁচটা বিয়ে করেছে।
আমি তার ছোট স্ত্রী। তিনি আরও বলেন, আজ সে রাতে আমার বাসায় আসে। আজ চট্টগ্রাম যাওয়ার কথা ছিল আমার স্বামীর। সে রাতে অতিরিক্ত মদ্যপান করে। এরপর আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। মদ পান করে অতিরিক্ত পাগলামি করতে থাকে। পরে বিরক্ত হয়ে তাকে বাসায় একা রেখে আমি বাসার বাইরে কাজে চলে যাই। আমার শরীরটাও বেশি ভালো ছিল না। পরে বাসায় এসে দেখি আমার স্বামী ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মনির মোল্লার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরগঞ্জ থানার পুট্যাকাঠি গ্রামে। তিনি এই গ্রামের মজিদ মোল্লার সন্তান। বর্তমানে হাজারীবাগের মধুবাজার এলাকায় একটি বস্তিতে থাকতেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) আব্দুল্লাহ খান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।