মহাসপ্তমীর রাতে দাঁড়িয়েছিলাম রাসবিহারী মোড়ের কাছে বাদামতলা আষাঢ় সংঘের পুজো মণ্ডপের সামনে। দুটো বিখ্যাত পুজো এই পাড়ায়। বাদামতলা আর ছেষট্টি পল্লী। বাঁধভাঙ্গা ভিড় এই দুটো পুজো মণ্ডপে। কোথায় কোভিড বিধি? কোথায় অনুশাসন। মাস্ক বিহীন নারী পুরুষ। বাদ নেই শিশুরাও। সামাজিক দূরত্ববিধি? সে তো বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় লকার বন্দি হয়ে গেছে।
গিজগিজ করছে মানুষ। একই ছবি একডালিয়া এভারগ্রিন, সিংহী পার্ক, সুরুচি সংঘ, চেতলা অগ্রণী, বেহালা নতুন দল, শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরিস্থিতি দেখে শিউরে উঠছেন। আর এন টেগোর হাসপাতালের কোভিড বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বিশ্বাস বললেন, তৃতীয় ঢেউ আসুক না আসুক- পুজোর পরে দাঁত নখ বের করে কোভিড আসছেই। পরিসংখ্যানও জানান দিচ্ছে সেই কথা। বাংলায় ১.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে কোভিড পৌঁছে গেছে ২.৩৪ শতাংশে। মহাসপ্তমীর দিন সংক্রমণে শীর্ষে কলকাতা। ষষ্ঠীতে কলকাতায় আক্রান্ত ছিল ১৪৫ জন। সপ্তমীতে সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ১৮০ জনে। গোটা রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছে ৭৬৮ জন। মৃত ১৩। সব কিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত বেদনাদায়ক মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ধারণা করোনা এবার অন্তত কলকাতায় সুপারস্প্রেডার হবে। অক্টোবরের শেষ থেকেই হাতেনাতে ফল মিলবে।