৮ ম্যাচের সবক’টিতেই জয়, পূর্ণ ২৪ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের গ্রুপ ‘এফ’-এ শীর্ষে অবস্থান। প্রতিপক্ষের জালে ২৭বার বল পাঠিয়ে হজম করেনি একটি গোলও। এটিই কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ডেনমার্কের সাফল্যগাঁথা। আর অজেয় যাত্রায় মঙ্গলবার রাতে অষ্টম জয় পেলো ডেনিশরা। অস্ট্রিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে ২০২২ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করলো তারা।
জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন ডেনমার্কের আতালান্তা উইংব্যাক জোয়াকিম মেয়লে।
পার্কেন স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ডেনমার্কের কাছে ম্যাচ হারলেও সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে অস্ট্রিয়া। ম্যাচের ৪৮ শতাংশ বল দখলে ছিল ডেনিশদের। গোটা ম্যাচে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে ৯টি শট নেয় ডেনমার্ক, যার লক্ষ্যে র্ছিল ৪টি। অপরদিকে ৫২ শতাংশ বল দখলে রেখে ৭টি শট নিলেও একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি অস্ট্রিয়া।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই দারুণ সুযোগ তৈরি করেন ডেনমার্কের থমাস ডিল্যানে।
ডান প্রান্ত দিয়ে ঢুকে সতীর্থের উদ্দেশ্যে দারুণ ক্রস করেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। তবে গোলমুখে বল পেয়ে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ডেনমার্কের মোহামেদ দারামি।
৫২তম মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। এসময় ডি-বক্সের বাম প্রান্তে সতীর্থের পাস পান অরক্ষিত মেয়লে। গোলরক্ষককে একা পেয়ে সহজেই বল জালে পাঠান আতালান্তা তারকা। গত এপ্রিলে প্রথম দেখায় অস্ট্রিয়াকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল ডেনমার্ক। সেই ম্যাচে ডেনিশদের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেছিলেন মেয়লে। আর ম্যাচটিতে খেলেছিলেন ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন।
ক’দিন আগেও ডেনমার্কের সবচেয়ে বড় তারকা বিবেচিত হতেন এরিকসেনই। দেশটার ফুটবলের সব আশা-ভরসা আবর্তিত হতো ইন্টার মিলানের এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারকে ঘিরে। কিন্তু গত ইউরোতে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ডেনমার্কের প্রথম ম্যাচে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ে জয়ী হলেও এরিকসেন ঠিক কবে মাঠে ফিরবেন, নাকি আদৌ ফিরবেন না- তা অজানা!