× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রোহিঙ্গা ও হোস্ট কমিউনিটিতে শিশু সুরক্ষায় ব্র্যাকের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(২ বছর আগে) অক্টোবর ১৩, ২০২১, বুধবার, ৫:৪৭ অপরাহ্ন

চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও রোহিঙ্গা ও হোস্ট কমিউনিটির শিশুদের সুরক্ষা ও খেলার মাধ্যমে মানসিক বিকাশে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ব্র্যাক। শিশুরা মানসিকভাবে যেন সুষ্ঠুভাবে গড়ে উঠে সেজন্য আগামীতেও এটি অব্যাহত রাখা হবে।
 
সম্প্রতি কক্সবাজারের একটি হোটেলে আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা এই তথ্য তুলে ধরেন। এতে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক, এইচসিএমপির কর্মসূচি প্রধান রবার্টস শীলা মুথিনি, একই প্রোগ্রাম এর আওতাধীন ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভলপমেন্ট (ব্র্যাক আইইডি) এর কর্মসূচি প্রধান সৈয়দা সাজিয়া জামান, শাকিলা ইয়াসমিন, এইচএমপির আওতাধীন চাইল্ড প্রটেকশান সেক্টরের টিম লিড রিফফাত জাহান নাহরীন ও সংশ্লিষ্ট কর্মসূচির সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ। ’লেশন লার্ন ওয়ার্কশপ’ শিরোনামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্র্যাক এইচসিএমপির আওতাধীন চাইল্ড প্রটেকশান সেক্টর।  
 
ইতিমধ্যে ২০২১ সালে শিশু সুরক্ষা সেক্টরে কি অর্জিত হয়েছে, কি চ্যালেঞ্জ ছিল ও ২০২২ সালে আর  কি করা যেতে পারে-সে সম্পর্কে সুপারিশমালা তুলে ধরতে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন পর্বে মূল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এইচসিএমপির চাইল্ড প্রটেকশান সেক্টরের ফিল্ড অপারেশন্স ম্যানেজার ফখরুল আলম, একই প্রোগ্রামের সিনিয়র সেক্টর স্পেশালিস্ট কামরুল হাসান ও প্রজেক্ট ম্যানেজার শাহানা আখতার।
 
হোস্ট কমিউনিটিতে প্লে ল্যাব ও রোহিঙ্গা কমিউনিটিতে হিউম্যানিট্যারিয়ান প্লে ল্যাব নামে ০-৬ বছর বয়সী শিশু ও তাদের মায়েদের সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর বিশেষত্ব হচ্ছে: খেলনা ও খেলার মাধ্যমে শিশুদের মানসিক বিকাশে ভূমিকা রাখা। এটির আর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে: স্থানীয় প্লে লিডার ও ভলান্টিয়ারগণ বিভিন্ন সেন্টারে শিশুদের মাঝে ব্র্যাকের প্রদত্ত নানান রকমের শিশু উপযোগী খেলনা প্রদান করেন।
তারা এসব অণুসরণ করে আর্ট পেপার, রঙ্গিন কাগজ, কাপড়, তুলা ও ঘরে থাকা নানান উপকরণের মাধ্যমে পুতুল, ঝুনঝুনি, ঝুড়ি, কলমদানি, ফুলদানিসহ হরেক রকমের খেলনা তৈরি করে। যা শিশুদের আনন্দ প্রদানের মাধ্যমে মানসিক বিকাশকে তরান্বিত করে।  
 
এর পাশাপাশি জরুরি সহায়তা হিসেবে শিশুদের সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট, সাইকোলজিক্যাল ফাস্ট এইড সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়া শিশুদের বিকাশে রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারের কারিকুলামের আলোকে তাদের নিজম্ব মাতৃভাষায় ও হোস্ট কমিউনিটিতে বাংলা ভাষায় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।  
 
কর্মশালা থেকে বক্তারা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে মায়ের পাশাপাশি বাবাদের সম্পৃক্তকরণ, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডোর টু ডোর সেবা কার্যক্রমকে জোরদারকরণ, শৈশবের প্রাথমিক বিকাশ এবং এই সংক্রান্ত কাজে চলমান গবেষণার কার্যক্রম আরও বাড়ানোর তাগিদ দেন।
 
অনুষ্ঠানে জানানো হয়,  টেকনাফ ও উখিয়ার ২৯টি ক্যাম্পে হিউম্যানিট্যারিয়ান প্লে ল্যাব (এইচপিএল) এর মাধ্যমে ৩৮ হাজার ৮৫৬ রোহিঙ্গা শিশুকে এই সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়া সরকারের সহযোগিতায় কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া, রামু ও সদর উপজেলায় ১০০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্লে ল্যাব স্থাপনের মাধ্যমে ৩ হাজার হোস্ট কমিউনিটির শিশুদের মধ্যে এই সেবা প্রদান করা হয়। আমেরিকাভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা সিসেমি ওয়ার্কশপ (Sesame Workshop) এর অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ব্র্যাক। শিশু সুরক্ষায় পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত।  
 
কর্মশালার দ্বিতীয় সেশনে ছিল ফোকাস গ্রুপ ভিত্তিক আলোচনা এবং এই সংক্রান্ত গবেষণা নিবন্ধ নিয়ে উপস্থাপনা।
 
এ প্রসঙ্গে ব্র্যাক এর মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সত্ত্বেও চাইল্ড প্রটেকশান সেক্টর হোস্ট ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কার্যক্রম ভালোভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এটা খুব আশাব্যঞ্জক। তবে উভয় কমিউনটিতে কাজ করার সময় ‘সেইফ গার্ডিং’ ও কোভিড-১৯ এর স্বাস্থ্যবিধিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে এবং আমাদের সেভাবে কাজ করতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর