× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘রেফারিই ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিয়েছে’

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার মালে (মালদ্বীপ) থেকে
১৪ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার

নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি জিততেই হতো। ৯ মিনিটে সুমন রেজার গোলে বাংলাদেশ সে পথে এগিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য বাংলাদেশকে ফাইনালে উঠতে দিলো না। ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচটি ১-১ গোলে সমতায় রেখে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে নেপাল। যদিও ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়া এই পেনাল্টি মোটেও মেনে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেটা বার বার বলেছেন হেড কোচ অস্কার ব্রুজন। তিনি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফাইনাল খেলুক ‘তারা’ চায়নি।  
সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশের।
তবুও এই টুর্নামেন্টে আয়োজকদের কাছে নানা ভাবে অবজ্ঞার শিকার হয়েছে ফুটবল দল। একদিন তো অনুশীলন শেষে গাড়ি দেয়া হয়নি ফুটবলারদের। বাধ্য হয়েই সেদিন পায়ে হেঁটে হোটেলে ফিরেছিলেন তপু-জামালরা। অনুশীলনের মাঠ থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই তপু-জামালদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করেছেন আয়োজকরা। তা গড়িয়েছে গতকালের ম্যাচেও। উজবেকিস্তানের রেফারি আকরল রিসকিলভের কয়েকটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে গেছে। যাতে ম্যাচের ভাগ্য বদলে গেছে জানিয়ে ব্রুজন বলেন, বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নতি হোক একটা অদৃশ্য শক্তি চায় না। এএফসি কাপে বসুন্ধরার সঙ্গে যা হয়েছে এখানেও তাই হয়েছে। ‘তারা’ চায় না বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নতি  হোক’। পেনাল্টির কথা উল্লেখ করে এই স্প্যানিশ কোচ বলেন, এটা কোনোভাবেই পেনাল্টি হয় না। অঞ্জন ড্রাইভ দিয়েছিলো। ওর পেছনে ছিল বিশ্বনাথ।
এখানে নেপালের ফুটবলারকে কার্ড দেখানোর কথা। সেখানে উল্টো আমোদের বিপক্ষে পেনাল্টি দিয়েছে তারা।’ ভারত ম্যাচের পর থেকে মাঠে এমনটা শুরু হয়েছে জানিয়ে ব্রুজন বলেন, আমরা কক্ষপথেই ছিলাম। আমার মনে হয় না মাঠের ফুটবলে বাংলাদেশ খারাপ করেছে। মাঠে যদি রেফারি পক্ষপাতমূলক আচরণ না করতো তাহলে আমরাই ফাইনাল খেলতাম।  দ্বিতীয়ার্ধের ৭৯ মিনিটে দলের সেরা পারফর্মার গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকু উইঙ্গার রাকিব হোসেনের ভুলের খেসারত দেন। খেসারত দেয় বাংলাদেশ দলই। রাকিবের মিস পাস কভার করতে গিয়ে ডি বক্সের বাইরে দুর্ভাগ্যবশত বল তার হাতে লাগলে লাল কার্ড দেখতে হয় তাকে। এই লাল কার্ড নিয়ে প্রশ্ন আছে ব্রুজনের। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, জিকু প্রথমে বল পা দিয়ে থামিয়েছে। পরে ওর হাতে লাগে। এখানে ওকে হলুদ কার্ড না দেখিয়ে লাল কার্ড দেখাতে পারতো রেফারি। বাংলাদেশ দলে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্রুজন বলেন, আমি ভবিষ্যতের কথা বলতে পারবো না। আমার ক্লাব বসুন্ধরা কিংস ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ওপর আস্থা আছে। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি তাদের সঙ্গে আছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর