× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মালদ্বীপের জীবনের অংশ ফুটবল

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার, মালে (মালদ্বীপ) থেকে
১৪ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার

বুধবার মালের রাশমি ধান্দু স্টেডিয়ামে ছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গুরুত্বপূর্ণ দুই ম্যাচ। দিনের প্রথম ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল স্বাগতিক মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের। এই ম্যাচকে ঘিরে ছিল স্থানীয় ফুটবল সমর্থকদের বিপুল উন্মাদনা। ম্যাচটি স্থানীয় সময় রাত নয়টায় শুরু হলেও দুপুর থেকেই স্টেডিয়ামে ভিড় করতে থাকেন তারা।
শুধু এই ম্যাচই নয়। ফুটবলের প্রতি এখানকার মানুষের অন্য এক ভালোবাসা। এখানে ভোর ছয়টা থেকে ফুটবলের চর্চা শুরু হয়।
দিনের চেয়ে রাতে আরো বেশি জীবন্ত হয় টার্ফগুলো। ফ্লাডলাইটের আলোয় চলে ফুটবল। মধ্যরাত পেরিয়ে অনেক সময় গভীর রাত পর্যন্ত চলে খেলা। তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলা নয়, শুধু মনের আনন্দ ও শরীর ঠিক রাখার জন্যই মালের লোকজনের এই প্রয়াস।
সাত কিলোমিটারেরও কম আয়তন মালে শহরের। এই ছোট আয়তনের মধ্যেও আট-দশটি ফুটসাল টার্ফ রয়েছে। এই টার্ফগুলো অবশ্য মালদ্বীপ ফুটবল এসোসিয়েশনের অধীনে নয়, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে। এলাকার লোকজনের খেলাধুলা ও সুস্থতা চর্চার জন্য এই টার্ফ ব্যবহার হয়। এই টার্ফগুলোতে সাধারণত মালদ্বীপের লোকজনই খেলেন। বাংলাদেশি বা অন্য দেশের নাগরিক তেমন খেলেন না। বাংলাদেশি প্রবাসী শাকিল বলেন, ‘প্রায় সারাদিনই নানা বয়সের, নানা পেশার মালদ্বীপের লোকজন ফুটবল খেলে। আমরা সব সময় কাজে ব্যস্ত থাকি। দিন শেষে কাজ করে ক্লান্ত থাকি। সন্ধ্যার পর যতটুকু সময় পাই দেশি ভাইদের সঙ্গে গল্প আড্ডা দিয়ে পার করি অথবা বাড়িতে কথা বলে সময় চলে যায়।’ মালদ্বীপের ফুটবল কাঠামোয় অনেক সীমাবদ্ধতা। সেই সীমাবদ্ধতাগুলো কাটিয়ে মালদ্বীপ কিভাবে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে দ্বিতীয় অবস্থানে এটা বোঝা যায় তাদের ফুটবলের প্রতি এই ভালোবাসা ও নিবেদন দেখে। ফুটসাল টার্ফে খেলে খেলেই আজ আন্তর্জাতিক তারকা আশফাক, আকরামরা। টার্ফে খেলার এই চর্চায় মালদ্বীপকে আজকের এই অবস্থানে এনেছে বলে মনে করেন স্থানীয় ফুটবলসংশ্লিষ্টরাও। মালদ্বীফ ফুটবল অ্যাশোসিয়েশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের শিশুরা বেড়েই ওঠে ফুটবল নিয়ে। প্রতিটি স্কুলে একটি টিম গেমে অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। অধিকাংশ ছেলেই ফুটবল বেছে নেয়। যারা বেশি মেধাবী ও নিবেদিত তারা বিভিন্ন ক্লাবের একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেয়। ধীরে ধীরে আমরা মেধাবী ফুটবলার পাই।’ তরুণদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে মাজিয়া স্পোর্টস এন্ড রিক্রিয়েশন ক্লাব সবার চেয়ে এগিয়ে। তাদের একাডেমীতে সবচেয়ে বেশি তরুণরা প্রশিক্ষণ নেয়। প্রশিক্ষকরাও খুব উঁচু মানের। এএফসি ‘এ’ লাইসেন্সধারী অনেকেই এই শিশু-কিশোরদের প্রশিক্ষণ দেয়। অন্য ক্লাবগুলোর আবাসন, অফিস কক্ষের সীমাবদ্ধতা থাকলেও তরুণদের একাডেমির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ করাতে নেই কোনো কার্পণ্য। এর সুফলই পায় মালদ্বীপ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। আর তা দেখে বাংলাদেশের ফুটবল সমর্থকদের বাড়ে হতাশা! এই সাফ টুর্নামেন্টেই এক সময় মালদ্বীপকে ৮-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর