বড়দিনের আগেই জার্মানিতে সরকার গঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির বিদায়ী সরকারের অর্থমন্ত্রী ওলাফ শলৎস। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের এক বৈঠক ও জি- টোয়েন্টি সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে রয়েছেন। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শলৎস বলেন, তিন দলের প্রাথমিক আলোচনা ভালোভাবেই এগোচ্ছে। গঠনমূলক পরিবেশে সংলাপ চলছে। বড়দিনের আগেই নতুন সরকার গঠনের সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল। এ খবর দিয়েছে ডয়চে ভেলে।
খবরে জানানো হয়, শলৎসের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও জার্মানির আগামী সরকার গঠনের লক্ষ্যে প্রাথমিক আলোচনা থেমে নেই। বৃহস্পতিবার এসপিডি, এফডিপি ও সবুজ দলের সাধারণ সম্পাদকরা সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঐকমত্যের ভিত্তিতে জোট গঠনের লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা আদৌ সম্ভব কিনা, সম্ভবত শুক্রবারই সে সিদ্ধান্ত জানা যাবে। মধ্যস্থতাকারীরা সেই খসড়া যে যার দলের কাছে পেশ করে অনুমোদন পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপের ঘোষণা করা হতে পারে। সেপ্টেম্বর মাসের সংসদ নির্বাচনে এসপিডি প্রায় ২৫, সবুজ দল প্রায় ১৫ এবং এফডিপি দল প্রায় ১০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। জনসমর্থনের বিচারে তিন দলের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও যে যার নিজস্ব এজেন্ডা যতটা সম্ভব কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর। জার্মানির আধুনিকীকরণ ও পরিবেশ সংরক্ষণের মতো বিষয়ে ঐকমত্য থাকলেও অর্থায়ন, করের বোঝার মতো কিছু বিষয়ে অনেক মতপার্থক্যও রয়েছে। বিশেষ করে উদারপন্থি এফডিপি দলের পক্ষে বাকি দুই ‘বাম ঘেঁষা’ দলের সঙ্গে আপোশ করা কঠিন কাজ। তবে তিন দলই আগামী সরকারের অংশ হিসেবে নিজস্ব নীতি কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর। ফলে আদর্শগত অবস্থানে কিছুটা আপস করে বাস্তববাদী মনোভাব দেখিয়ে দলগুলি শেষ পর্যন্ত জোট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। রক্ষণশীল ইউনিয়ন শিবিরের বেহাল অবস্থার কারণে এফডিপি দলের সামনে বিকল্প জোটের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই আশা আরও বাড়ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এবং থমকে যাওয়া আধুনিকীকরণের গতি বাড়াতে তিন দল মিলে যৌথভাবে আগামী জোট সরকারের রূপরেখা রচনা করতে পারে। প্রত্যেক দল সেই খসড়ায় নিজস্ব মৌলিক অবস্থান অটুট হিসেবে তুলে ধরে মুখরক্ষা করতে পারে। মন্ত্রণালয়ের বণ্টন নিয়ে দরকষাকষি করে ছোট দুই শরিক দল নিজস্ব শক্তি অক্ষুণ্ন রাখার ‘প্রমাণ’ তুলে ধরতে পারে। অসংখ্য খুঁটিনাটি নিয়ে বিভিন্ন মহলের কিছু দাবিও জোট সরকারের অভিন্ন কর্মসূচিতে স্থান পেতে পারে।