× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দক্ষিণ রণিখাই ইউপি’র আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক শিবির নেতা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৫ অক্টোবর ২০২১, শুক্রবার

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকবাল হোসেন ইমাদের দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন একই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাইফুল ইসলাম। তিনি ইমাদকে ছাত্রশিবিরের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক নেতা দাবি করে স্বাধীনতাবিরোধী অনুপ্রবেশকারীর হাত থেকে দলকে রক্ষার অনুরোধ করেন। গতকাল বিকাল ৩টায় সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ইমাদ সময়ের ব্যবধানে নিজের স্বার্থের প্রয়োজনে খোলস পাল্টে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। ২০১৮ সালের শেষ দিকে তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাসিমকে ম্যানেজ করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ২০১৯ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য হন। এ সময় তৃণমূল আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতাকর্মী প্রতিবাদ করলে ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুল হাসিম আমলে নেননি এবং এড়িয়ে যান। সর্বশেষ হাসিমকে ম্যানেজ করে দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ও শেষ পর্যন্ত নৌকার মনোনয়ন পেয়ে যান।
এমনকি তিনি যুক্তরাজ্য ও দেশে থাকাবস্থায় তার ফেসবুক আইডি ২০২১ সালের ২রা অক্টোবর পর্যন্ত অ্যাক্টিভ রাখেন। ওই আইডিতে সরকারবিরোধী পোস্ট রয়েছে। যা বন্ধ করে বর্তমানে অন্য নামে তার আরেকটি ফেসবুক আইডি চালু করেন। তৃণমূল আওয়ামী লীগের পক্ষে গতকাল সংবাদ সম্মেলনকারী সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধেও অনুপ্রবেশের অভিযোগ রয়েছে। তিনি দুই বছর আগে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিএনপিতে তিনি ছিলেন এমন কোনো প্রমাণ নেই। প্রতিপক্ষই মিথ্যাচার করছে। বক্তব্যে বলা হয়, নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার পর তৃণমূল আওয়ামী লীগে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তখন তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন করে ইকবাল হোসেন ইমাদ বেশকিছু মিথ্যা তথ্য সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, যে শিবির নেতা ইকবাল হোসেনের কথা বলা হচ্ছে সেই ব্যক্তি তিনি নন। কিন্তু কথাটি চরম মিথ্যাচার। তিনি যে ব্যক্তির কথা বলছেন তার নামও ইকবাল হোসেন। ওই ইকবাল দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়নের পশ্চিম বর্ণী গ্রামের মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুন নুরের ছেলে। কিন্তু চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন ইমাদ দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামের মো. আব্দুস সালামের ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে ইমাদ সাবেক শিবির নেতা প্রমাণে তথ্য প্রমাণ উপস্থান ছাড়াও উপস্থিত করা হয় বর্ণী গ্রামের আরেক ইকবাল হোসেনের পিতা মাওলানা আব্দুন নুরকে। সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল ইসলামের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোস্তাকিন। উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগর সামসুল ইসলাম, আকিল উদ্দিন, বাবুল দাস, আপ্তাব উদ্দিন প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর