সিলেটের জাফলংয়ের বালু ও পাথরখেকো সিন্ডিকেটের প্রধান ফয়জুলের বিরুদ্ধে লুটপাট ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ফয়জুল ছাড়া আরও ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ম আদালতে এই মামলা দায়ের করেন জাফলং নয়াবস্তি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হেকিমের স্ত্রী সাহেনা বেগম। মামলায় আসামিরা হচ্ছে- নয়াবস্তি গ্রামের মকবুল আলীর ছেলে আজগর হোসেন, আকবর হোসেন, সাবু মিয়ার ছেলে আব্দুল করিম, মৃত নুরু মিয়ার ছেলে মরম আলী ও শফিক মিয়ার ছেলে মধু মিয়া। বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, আদালত সাহেনা বেগমের মামলাটি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গোয়াইনঘাট থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার এজাহারে সাহেনা বেগম উল্লেখ করেন, গত সোমবার নয়াবস্তি গ্রামে পিয়াইন নদীর তীরবর্তী স্থানে তার ছেলে শাহীন আহমদকে পেয়ে পাথরখেকো চক্রের প্রধান ফয়জুল ওরফে বিশ্বনাথী ফয়জুল মারধর করে। এ সময় শাহীনের মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় সাহেনা বেগম থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ফয়জুল ও তার সহযোগীরা মঙ্গলবার রাতে সশস্ত্র অবস্থায় সাহেনা বেগমের ঘরে হামলা চালায়।
এ সময় তারা অশ্লীল গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে সাহেনা বেগম অশ্লীল কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করলে ফয়জুলসহ আসামিরা দা দিয়ে ঘরের টিনের বেড়া কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ৪০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে ঘরে থাকা ৭৮ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে তিনি আদালতের কাছে আর্জি জানান। সাহেনা বেগম জানিয়েছেন, প্রথমে থানায় অভিযোগ এরপর আদালতে মামলা দায়েরের পর থেকে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ফয়জুল ও তার সহযোগীরা এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে তিনি গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেছেন।