আবারো আফগানিস্তানে শিয়াদের মসজিদে ভয়াবহ বোমা হামলা হয়েছে। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৩ জন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৩ জন। শুক্রবার দেশটির কান্দাহারের ইমান বারগাহ মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার সময় এই হামলা চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন তিনজন আত্মঘাতী হামলাকারী এই হামলা চালিয়েছে। এরমধ্যে একজন মসজিদের মধ্যে প্রবেশের পর বিস্ফোরণ ঘটায় আর অপরজন মসজিদের বাইরে বিস্ফোরণ ঘটায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজ ও ছবিতে দেখা যাচ্ছে মসজিদের মেঝেতে ব্যাপক মরদেহ পড়ে আছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিস্ফোরণে মসজিদের জানালার কাঁচ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে, মেঝেতে মানুষজন পড়ে আছে এবং অন্যান্য মুসল্লিরা তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই হামলাটিও আত্মঘাতী হামলা ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মসজিদের প্রধান ফটকের কাছে তিনটি বিস্ফোরণ হয়েছে। বিস্ফোরণের সময় মসজিদটি মানুষে পূর্ণ ছিল। এর পরপরই সেখানে ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স ছুটে যায়।
বৃটিশ গণমাধ্যম বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, বর্তমানে তালেবান সদস্যরা মসজিদটির আশেপাশে পাহারা দিচ্ছে। গত ১৩ই আগস্ট এই কান্দাহার শহর দখল করেছিল তারা। এর দু’দিন বাদেই কাবুলের দখল নেয় তালেবান। এরপর থেকে ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় একটি গ্রুপ আইএসকে’র সঙ্গে তালেবানের দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করতে থাকে। এরইমধ্যে একাধিক হামলা চালিয়েছে আইএসকে। যদিও অন্যান্য সুন্নি জঙ্গি সংগঠনগুলোও প্রায়ই আফগানিস্তানের শিয়াদের টার্গেট করে দশকের পর দশক ধরে হামলা চালিয়ে আসছে।
এর আগে গত শুক্রবার উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুন্দুজের একটি শিয়া মসজিদে শুক্রবারের নামাজের সময় আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়েছিল যাতে অন্তত ৮০ জন নিহত হয়। পরে আইএসকে ওই হামলার দায় স্বীকার করে। আফগানিস্তানে যতগুলো জিহাদি গ্রুপ তৎপর রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে চরম এই আইএসকে। এমনকি তালেবানও যেখানে কট্টরপন্থি হিসেবে বিবেচিত হয় সেখানে আইএসকে তালেবান শাসনেরও বিরোধিতা করছে।