কাউখালী উপজেলার কাউখালী-কচুয়াকাঠি-দাসেরকাঠি সড়কটি এখন মরণ ফাঁদে রূপান্তরিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের এই পাকা সড়কে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দের। উঁচু-নিচু সড়কটিতে রয়েছে অসংখ্য ছোটবড় গর্ত। অনেক পুরনো এই রাস্তাটি এখন সম্পূর্ণ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় প্রতিদিন ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থায়ী সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেই। এ সড়কটি উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষের আসা যাওয়ার একমাত্র সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ পথ। সড়কের দুই পাশে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।
এ সড়ক দিয়ে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এলাকার শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, কৃষকসহ সাধারণ মানুষ এ ভাঙা রাস্তা দিয়ে দৈনন্দিনের কাজ করার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে। অথচ উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে এ রাস্তাটি থাকলেও কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ উদাসীন। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের উপজেলার উত্তর বাজার পুলের গোড়া সকাল সন্ধ্যা হোটেল থেকে কচুয়াকাঠি স্টিলের ব্রিজ পর্যন্ত সংস্কারের জন্য এডিবি থেকে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও কোনো লাভ হয়নি। এ ছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে কচুয়াকাঠি ব্রিজ থেকে দাসেরকাঠি তালতলা পিচ ঢালাই রাস্তা পর্যন্ত সংস্কারের জন্য ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। ওই টাকা দিয়ে শুধু পুরানো ঢালাই ভেঙে গর্তগুলো ভরাট করা হয়েছে। কোন ঢালাই অথবা কার্পেটিং এর কাজ করা হয়নি। কচুয়াকাঠি খালের পাড়ে অবস্থিত এ সড়কটির মতো খালের উত্তর পাশের রাস্তাটিরও একই অবস্থা। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্য সহকারী মফিজ আহমেদ বলেন, সকাল সন্ধ্যা হোটেল থেকে স্টিলের ব্রিজ পর্যন্ত বরাদ্দকৃত টাকার কাজ সঠিকভাবে না হওয়ায় সম্পূর্ণ বিল দেয়া হয় নাই এবং বেইলি ব্রিজ থেকে দাশেরকাঠি পর্যন্ত সড়কের বালু খোয়া দিয়ে সমান করা হয়েছে। এরপরে সিসি ঢালাইর পরিকল্পনা রয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া বলেন, অর্থ বরাদ্দ না থাকায় কিছু অংশ বালু খোয়া দিয়ে সমান করা হয়েছে আগামী অর্থবছরে ঢালাই কাজ সম্পন্ন করা হবে।