× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন পাকুন্দিয়ার মেয়র খোকন

বাংলারজমিন

আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ থেকে
১৭ অক্টোবর ২০২১, রবিবার

কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বর্তমান মেয়র মো. আক্তারুজ্জামান খোকন। গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আক্তারুজ্জামান খোকনের মনোনয়নপত্রকে বৈধ ঘোষণা করে রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক ঘোষিত প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ বাতিল করেছেন। এর আগে গত ১১ই অক্টোবর অনুষ্ঠিত বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম। প্রার্থিতা ফিরে পেতে রিটার্নিং অফিসারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেন মো. আক্তারুজ্জামান খোকন। আপিলে তার প্রার্থিতা বহাল রেখেছেন জেলা প্রশাসক। ফলে আগামী ২রা নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে বর্তমান মেয়র মো. আক্তারুজ্জামান খোকনের মেয়র পদে লড়ার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা রইলো না। প্রার্থিতা বহালের আদেশের পর বর্তমান মেয়র মো. আক্তারুজ্জামান খোকন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মানবজমিনকে বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত। গত ৫ দিন পৌরবাসীসহ যারা আমাকে মানসিকভাবে সমর্থন জুগিয়েছেন, তাদের নিকট আমি কৃতজ্ঞ।
আপিলে আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। আশা করবো, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করবে। ২০১৬ সালের ৩১শে অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মো. আক্তারুজ্জামান খোকন বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মেয়র নির্বাচিত হন। সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আক্তারুজ্জামান খোকন নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে ‘নৌকা’ ও ‘ধানের শীষ’ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র দুই প্রার্থীকেই ধরাশায়ী করেন। নির্বাচনে বিএনপি’র ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত এলাকাগুলোতে বিপুল ভোটে জয়ী হন আক্তারুজ্জামান খোকন। আর আওয়ামী লীগেরও উল্লেখযোগ্য ভোট পান খোকন। এ ছাড়া আঞ্চলিকতা ইস্যুতেও এগিয়ে যান তিনি। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রেও একই সমীকরণের পথে হাঁটছেন বতর্মান এই মেয়র। দলীয় বলয়ের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই দ্বিতীয় মেয়াদে পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়রের চেয়ারে বসতে চান তিনি। নিজেকে ‘জনগণের প্রার্থী’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে আক্তারুজ্জামান খোকন চলতি মেয়াদের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার অঙ্গীকারে এবারো জনগণের রায় কামনা করেছেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে মো. আক্তারুজ্জামান খোকন মানবজমিনকে বলেন, আমি দল থেকে জনগণকেই বেশি প্রাধান্য দেই। গত নির্বাচনে জনগণই ছিল আমার ভরসা। এবারের নির্বাচনেও জনগণই আমার মূল শক্তি। আমাকে গত নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে সবাই বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন। আমি জনগণের পাশে থেকে গত ৫ বছর কাজ করেছি। মানুষ হিসেবে আমি ভুল-ত্রুটির ঊর্ধ্বে নই। যে কারণে আমি সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। এ ছাড়া পাকুন্দিয়া পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ড্রেনের জন্য ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেলেও করোনার প্রকোপের কারণে সেসব কাজ সম্পন্ন করতে পারিনি। আমি আশা করি, আমার পাকুন্দিয়া পৌরবাসী এবারো দলমত নির্বিশেষে আমাকে বিজয়ী করে আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার সুযোগ প্রদান করবেন। প্রসঙ্গত, পাকুন্দিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মোট ৪ জন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে ২ জন দলীয় এবং ২ জন স্বতন্ত্র। দলীয় ২ প্রার্থী হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আকন্দ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী আতাহার আলী। এ ছাড়া স্বতন্ত্র ২ প্রার্থী হলেন, বর্তমান মেয়র মো. আক্তারুজ্জামান খোকন ও সাবেক মেয়র এডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর