ফেনসিডিল বহনকারী প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী আব্দুল গফুর মাহমুদ (৬৫) নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার মদনপুর গ্রামের মৃত নেহাল উদ্দিন মাহমুদের ছেলে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের তালা উপজেলার মদনপুর বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে সাতক্ষীরা কোর্টে কর্মরত পুলিশ কনেস্টবল (নং ৯৯৭) উত্তম দাস (২৬) ও চালক সাতক্ষীরা সদর থানার লুৎফর রহমান (২৫)কে গ্রেপ্তার করেছে খর্ণিয়া (চুকনগর) হাইওয়ে থানা পুলিশ।
জানা গেছে, আব্দুল গফুর মাহমুদ মদনপুর বাজার এলাকা থেকে সকাল ১০টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা বেপরোয়া গতির খুলনাগামী (ঢাকা মেট্রো ১২-৬৪৫৫) একটি প্রাইভেটকার মোটরসাইকেলে সাজোরে ধাক্কা দিলে দুমড়ে-মুচড়ে ছিটকে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা চড়াও হয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এ সময় স্থানীয়দের উপস্থিতিতে প্রাইভেটকার তল্লাশি করে ৬ বোতল ফেনসিডিল, ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আহতের চিকিৎসার জন্য এক লাখ টাকা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও এলাকাবাসী। তবে আহত আব্দুল গফুর বিকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। চুকনগর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করেছেন। তিনি জানান, সিসি ব্যতিরেকে পুলিশ সদস্য প্রাইভেটকারযোগে খুলনা যাওয়ার বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে চুকনগর (খর্ণিয়া) হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মেহেদী হাসান বলেন, উদ্ধারকৃত টাকা থেকে আহত আব্দুল গফুরের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুজ্জামানের কাছে ১ লাখ টাকা দিয়ে আসা হয়েছে। শুক্রবার রাত ৭টার সময় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডুমুরিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানান তিনি। হাইওয়ে পুলিশের মাদারীপুর রিজিয়নের (যশোর সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার মো. আলী আহম্মেদ হাশমী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।