সাকিব-মাহমুদুল্লাহ-মুশফিক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রধান ক্রিকেটার। ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের দিকে এই তিনজনের দিকে তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ দল। বোলিংয়েও ভরসার নাম সাকিব আল হাসান। পেস আক্রমণে নেতৃত্ব দেবেন মোস্তাফিজুর রহমান। দারুণ ছন্দে রয়েছেন কাটার মাস্টার। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের তুরুপের তাস হতে পারেন মোস্তাফিজ। এমনটাই মেেন করছে আইসিসি। তাদের বিশ্লেষণে এই তালিকায় রয়েছেন তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন।
চোট কাটিয়ে ছন্দে ফিরেছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
চলতি বছর ১১ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ১৮ উইকেট। গড় ১২.৬১। ইকোনমি ৫.৭৭। টেস্ট খেলুড়ে দেশের বোলারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী। আইসিসির বোলিং র্যাঙ্কিংয়েও রয়েছেন সেরা দশে। আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে করেছেন ধারাবাহিক পারফরমেন্স। ১৪ ম্যাচে শিকার ১৪ উইকেট।
ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টির বিশ্বমঞ্চে নামতে চলেছেন মোস্তাফিজ। ২০১৬ অভিষেক আসরে খেলতে পেরেছেন মাত্র ৩ ম্যাচ। আলো ছড়িয়ে এই তিন ম্যাচে শিকার ৯ উইকেট। এই তিন ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও নিউজিল্যান্ড। ভারতে হওয়া সেই আসরে নেন ৫ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মোস্তাফিজের ২২ রানে ৫ উইকেট আসরের সেরা বোলিং ফিগার। মোস্তাফিজ ছাড়া সেবার ৫ উইকেট পেয়েছিলেন কেবল অজি অলরাউন্ডার জেমস ফকনার।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের ভবিষ্যত ভাবা হয় আফিফ হোসেনকে। প্রথমবার খেলবেন বিশ্বমঞ্চে। আফিফের দায়িত্বটা ব্যাট হাতে ঝড় তোলার। লোয়ার অর্ডারে খুব বেশি বল খেলার সুযোগ হবে না তার। পালন করতে হবে ফিনিশারের ভূমিকা। ২২ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার অফস্পিন করতে পারেন। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে বাড়তি অপশন হিসেবে থাকবেন আফিফ। এই বাঁহাতি ব্যাটার বড় শট খেলতে পারেন। সেই ছাপ আগেই রেখেছেন। বিশ্ব মঞ্চে নিজেকে চেনানোর পালা। ২০১৮ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের পর খেলেছেন ২৮ ম্যাচ। যদিও প্রতিভার সুবিচার করতে পারেননি তিনি। ১৮.৬৪ গড়ে করেছেন ৩০২ রান। আশা জাগাচ্ছে আফিফের স্ট্রাইক রেট (১২৩.৫০)। বাঁহাতে ব্যাট করলেও আফিফ বল করেন ডান হাতে। অফস্পিনে আফিফের শিকার ৭ উইকেট। ব্যাটার ও অলরাউন্ডারদের মধ্যে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সদস্যদের মধ্যে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন আফিফ। সব মিলিয়ে আফিফ কুড়ি ওভারের ম্যাচ খেলেছেন ৯৮টি। যেখানে তার রান ১ হাজার ৬৬৫। ফিফটি ৭টি। টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে বিশ্বকাপ আদর্শ মঞ্চ। পারবেন আফিফ?