× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সরকার কোন দুঃখে এসব করতে যাবে?

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৭ অক্টোবর ২০২১, রবিবার

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গত ১২ বছরে হিন্দু সমপ্রদায়ের দুর্গাপূজায় কোনো ধরনের সহিংসতা বা সমস্যা হয়নি কিন্তু এবার পরিকল্পিতভাবে সামপ্রদায়িক অপশক্তি এই অপকর্ম সৃষ্টি করেছে। সরকার এসব তাণ্ডবে জড়িত, বিএনপি  নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার স্থিতিশীলতা চায়। সরকার কোন দুঃখে এসব করতে যাবে? ওবায়দুল কাদের শনিবার সকালে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি তার বাসভবন থেকে সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জেলা থেকে তথ্য  গোপন করে যারা বিতর্কিতদের নাম  কেন্দ্রে পাঠাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে যারা দলে বা নির্বাচনে বঞ্চিত হচ্ছেন, তাদের হারানোর কিছু নেই, ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলে শেখ হাসিনা তাদের ত্যাগের মূল্যায়ন করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতক্ষণ নেতৃত্বে আছেন কারও শ্রম-ত্যাগ বৃথা যাবে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাই সবাইকে  ধৈর্য ধরতে হবে।
নির্বাচনে অভিযোগের পাহাড় বা স্তূপ জমা হয়ে আছে অথবা দফায় দফায় প্রার্থী পরিবর্তন করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ মোটেই সত্য নয় জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৪০টির মতো অভিযোগ পাওয়া  গেছে। তার ভিত্তিতে ১৫টি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে, প্রার্থীও পরিবর্তন করা হয়েছে। তিনি বলেন- অভিযোগ করলেই যে সব সত্য, এমনটা মনে করার কিছু নেই।
যারা হিন্দুদের মন্দিরে হামলা করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের শত্রু উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন- এই অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
দেশের উন্নয়ন যাদের সহ্য হয় না তাদের গাত্রদাহ হওয়াই স্বাভাবিক বলে মনে করেন তিনি। ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে একটি মহল ধর্মের মূল চেতনাবিরোধী তৎপরতার মাধ্যমে বারবার সহিংসতার সুযোগ খুঁজছে তাদের আর ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন ওবায়দুল কাদের।
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জিল্লুর হাকিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, বন ও পরিবেশ সম্পাদক  দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য সানজিদা খানম, আনোয়ার  হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজি, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম ও ইকবাল  হোসেন এবং রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীসহ স্থানীয়  নেতাবৃন্দ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর