× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আচারের আড়ালে ভয়ঙ্কর আইস

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৭ অক্টোবর ২০২১, রবিবার

আচার ও চায়ের আড়ালে ঢাকায় আনা হচ্ছে ভয়ঙ্কর মাদক আইস (ক্রিস্টাল মেথ)। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ভয়ঙ্কর মাদক আইস বা ক্রিস্টাল মেথসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। মিয়ানমার থেকে নাফ নদ হয়ে এই চক্রটি আইস নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তা ছড়িয়ে দেয়। গতকাল দুপুরে কাওরান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, হোছেন ওরফে খোকন ও তার সহযোগী মো. রফিক।
তাদের কাছ থেকে জব্দকৃত আইসের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা। র‌্যাব দাবি করেছে, দেশে জব্দকৃত আইসের বড় চালান এটি। গতকাল ভোরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে টেকনাফ আইস সিন্ডিকেট চক্রটিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।
এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচ কেজি ৫০ গ্রাম আইস, একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দুটি মোবাইল ও তিনটি  দেশি-বিদেশি সিমকার্ডসহ মাদক ব্যবসায় ব্যবহৃত ২০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
র‌্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা টেকনাফকেন্দ্রিক মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য। চক্রটি কয়েক বছর ধরে অবৈধ মাদক ইয়াবার কারবার করে আসছে। সিন্ডিকেটে ২০-২৫ জন যুক্ত রয়েছে। সিন্ডিকেটের সদস্যরা সাধারণত নৌপথ ব্যবহার করে মাদকের চালান দেশে নিয়ে আসে। চক্রটি ইয়াবা কারবারে জড়িত থেকে বিগত কয়েক মাস ধরে আইস পাচার করছে।
র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ঢাকার উত্তরা, বনানী, গুলশান, ধানমণ্ডি ও মোহাম্মদপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় তাদের সিন্ডিকেটের সদস্য রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত মো. হোছেন ওরফে খোকন এই চক্রের মূল হোতা। কাপড় ও আচারের ব্যবসার আড়ালে মাদকের চালান দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করতো খোকন। তার নামে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত রফিক এই চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য এবং টেকনাফে অটোরিকশা চালকের ছদ্মবেশে মাদক পরিবহন এবং স্থানান্তর করতো।
খন্দকার আল মঈন বলেন, সম্প্রতি টেকনাফকেন্দ্রিক কয়েকটি মাদক চক্র পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে মাদকদ্রব্য আইস বাংলাদেশে নিয়ে আসছে। ফলে র?্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। তিনি আরও বলেন, টেকনাফের নাফ নদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশি চৌকি থাকলেও গ্রেপ্তার এই চক্রটির সদস্যরা রাতের অন্ধকারে নৌকায় লাইটার সিগন্যালের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশের মাদক কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইস নিয়ে আসে। তারা এর আগে ইয়াবা নিয়ে এলেও বেশি লাভের আশায় সম্প্রতি আইস নিয়ে আসা শুরু করে। টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সড়ক পথে নিয়ে আসে। এরপর তারা চট্টগ্রাম থেকে সড়ক পথে ঢাকায় নিয়ে আসে। এ সিন্ডিকেটে যে ২০-২৫ জন রয়েছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর