× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাকামুখী অভিবাসন রোধ করতে হবে- তাপস

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৭ অক্টোবর ২০২১, রবিবার

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ঢাকামুখী অভিবাসন রোধ করা না গেলে যত পরিকল্পনাই নেয়া হোক তা কার্যকর হবে না। ঢাকা আজ ২ কোটি ১০ লাখ মানুষের শহর। ২০৩০ সালে যদি এটা ৩ কোটি আর ২০৪১ সালে ৫ কোটিতে দাঁড়ায় তাহলে কিন্তু সমস্যার সমাধান হবে না।
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ওয়াটার এইড বাংলাদেশের উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ‘পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেক্টরে ৫০ বছরের অর্জন ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তাপস এসব কথা বলেন।
তাপস বলেন, আমাদেরকে আগে ২ কোটি ১০ লাখ মানুষের সকল নাগরিক সুবিধা, উন্নত ঢাকার সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য আমাদেরকে দেশের গ্রামগুলোতে চাকরি, কর্মসংস্থান ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। যখন ঢাকার দিকে এই গতি (গ্রাম হতে শহরে অভিবাসন) রোধ করতে পারবো, তখনই আমরা ২০৩০ সালে ঢাকার ২ কোটি ১০ লাখ মানুষের যথার্থ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পারবো। কিন্তু আমরা যদি ধরেই নিই যে, ঢাকার দিকে এই অভিবাসনের গতি চলতে থাকবে, তাহলে আমরা যতই পরিকল্পনা করি না কেন, ২০৩০ সালে গিয়ে দেখা যাবে আমাদের কোনো পরিকল্পনাই কার্যকর হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া রূপরেখার আলোকেই কেবল ঢাকামুখী অভিবাসন রোধ করা যাবে উল্লেখ করে শেখ তাপস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘গ্রাম হবে শহর’  যে পথ নকশা আমাদেরকে দিয়েছেন তা যদি সঠিকভাবে, সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি, তবে অভিবাসনের এই গতি রোধ করা যাবে।
২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকাবাসীর জন্য উন্নত নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা যাবে।  
ঢাকা শহরের ৯৫ শতাংশ বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক ও ৯৯.৯৯ শতাংশ বাড়িতে সোক ওয়েল নেই কিন্তু বাড়ির মালিকদের সেগুলো নিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে বাধ্য করতে হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এ ইমারত নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণের আবেদন ও অনুমতি সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে নিতে হবে বলে উল্লেখ আছে। কিন্তু আজ অবধি সেটা রাজউক দিয়ে থাকে। আমরা একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছি। মন্ত্রণালয় সেটা পর্যালোচনা করছে। আমি আশাবাদী যে, ডিসেম্বরের মধ্যে সেটা পেয়ে যাবো। পেয়ে গেলে আগামী বছর থেকে সেটা বাস্তবায়ন করবো। যতক্ষণ পর্যন্ত সেই বসত-বাড়ি, আবাসনগুলো নিজস্ব সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপন বা নির্মাণ করবে না, আমরা সেগুলোর কোনো অনুমতি দেবো না। সেটা যত বড় অট্টালিকার ডেভেলপার কোম্পানিই হোক অথবা ছোটখাটো ঘরই হোক।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর