নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে সুজন ফকির (৪৫) নামে এক মিশুক চালককে গলা কেটে নৃসংশভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার সকাল ৮টার দিকে ফতুল্লার নয়াবাজার মসলিম নগর এলাকায়। নিহত সুজন নাটোরের গুরুদাসপুরের রামাগাড়ি এলাকার আমজাদ হোসেন টগরের ছেলে। ফতুল্লার নবীনগর শাহ আলমের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতো।
শনিবার সকাল ৭টায় একটি ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয় সুজন। একটি অটোরিকশা যোগে সুজনসহ ৩ জন আসে নয়াবাজার মুসলিম নগর এলাকায়। পরে চলন্ত অটোরিকশার সামনের সিটে বসে থাকা সুজন ফকিরকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায় ঘাতকরা।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নিহতের স্বজনরা। ভিড় করে উৎসুক জনতা।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
ওদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত সুজন ফকিরের ছেলে সজীব ফকির (২০) বাদী হয়ে গতকাল দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, নিহত সুজন ফকির ফতুল্লার বিসিকস্থ অহনা নামক একটি পোশাক তৈরি কারখানায় আয়রণম্যান হিসেবে কাজ করতো। ১লা অক্টোবর সে কারখানার কাজ ছেড়ে দিয়ে ১৪ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার ব্যাটারিচালিত একটি মিশুক ক্রয় করে। শুক্রবার রাতে মিশুকটি স্থানীয় জামানের গ্যারেজে চার্জে রেখে বাসায় চলে যায় সুজন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে অজ্ঞাতনামা ২-৩ জন সুজন ফকিরকে বাসা থেকে ডেকে বের করে নিয়ে একটি মিশুক গাড়ি যোগে বিসিকের দিকে যাওয়ার পথে এনায়েত নগর মুসলিম নগর নয়াবাজারস্থ ইঞ্জিনিয়ার সোহেলের অফিসের সামনে পাকা রাস্তার ওপর পৌঁছামাত্র মিশুকের পিছনের সিটে বসা অজ্ঞাতনামা দু’জন পরস্পর যোগসাজশে মিশুক চালকের বাম পাশে বসা সুজন ফকিরকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলার পেছনে গাড়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, পূর্বপরিকল্পিত ভাবে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গলার পেছন দিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায়। নিহতের পুত্র বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সিসি ফুটেজ দেখে ঘাতকের চিহ্নিতসহ গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।