× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিলেট ছাত্রলীগ ঢাকায় থাকা নেতাদের ফেরা নিয়ে জল্পনা

বাংলারজমিন

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
১৮ অক্টোবর ২০২১, সোমবার

সিলেট ছাত্রলীগে নানা জল্পনা। কমিটি নিয়ে বিরোধ তুঙ্গে। চলছে মাঠের আন্দোলনও। এই অবস্থায় ঘোষিত সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতাদের ঢাকায় ডেকে নিলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সিলেটের নেতাদের ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেছেন তারা। গতকাল ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতেও ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নেতারা। এখন তাদের সিলেট ফেরার পালা। কিন্তু সিলেটে ফেরা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা।
শোডাউন হবে কিনা- এ নিয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। দীর্ঘ চার বছর পর মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয়েছে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি। শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে এই কমিটি গঠন করা হয়। চার সদস্যের কমিটি নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সিলেটে। মঙ্গলবার থেকে হচ্ছে বিক্ষোভ। এবারের সিলেট ছাত্রলীগে দর্শনদেউরী গ্রুপ, টিলাগড়ের গোপাল টিলা বলয়, কাস্মির গ্রুপ পদ পেয়েছে। তেলীহাওর গ্রুপের নেতারা সাধারণ সম্পাদক পদ পেলেও জেলার সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজকে মানতে নারাজ। না জানিয়ে কমিটি দেয়ায় সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারাও ঘোষিত কমিটিকে সমঝে নিচ্ছেন না। ফলে কমিটি ঘোষণা করা হলেও সিলেটে আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হয়নি সিলেট ছাত্রলীগের। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় নেতাদের ডাকে সাড়া দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভকে ও সাধারণ সম্পাদক মো. নাঈম আহমদ ঢাকায় যান। আর কমিটি ঘোষণার আগে থেকেই ঢাকায় অবস্থান করছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ। ঢাকায় তারা একত্রে মিলিত হয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সিলেটের নেতারা বৈঠক করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকায় অবস্থান করা নেতারা। তারা জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ হচ্ছে; সিলেটে গিয়ে মান-অভিমান ভুলিয়ে মিলেমিশে কাজ করার। এ জন্য খুব দ্রুত নতুন দায়িত্ব পাওয়া নেতাদের সিলেটে ফেরার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে- সিলেটে ফিরতে বাধা নেই জেলার সভাপতি নাজমুল, মহানগর সভাপতি সৌরভ ও সাধারণ সম্পাদক নাঈমের। কমিটি ঘোষণা করার পর থেকেই তারা সিলেটে অবস্থান করছিলেন। সিলেট ছাত্রলীগের নেতাদের ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিষিক্ত হয়েছিলেন তারা। নিজ এলাকায় করেছেন শোডাউনও। কিন্তু তেলীহাওর গ্রুপের নেতা রাহেল সিরাজ এখনো সিলেটে আসেননি। প্রশ্ন উঠেছে; রাহেল সিরাজ এখন ফিরবেন কোথায়? তিনি তেলীহাওর গ্রুপের ছাত্রলীগের নেতা। এই গ্রুপ থেকে এবার সভাপতি পদে শক্তিশালী প্রার্থী ছিলেন জাওয়াদ খান। একক লবিংয়ে রাহেল সিরাজ সাধারণ সম্পাদক হয়ে যাওয়ার কারণে কপাল পুড়েছে জাওয়াদ খানের। এ কারণে গ্রুপের সব নেতারা জাওয়াদ খানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আর সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকে রাহেল সিরাজের বিপক্ষে তাদের অবস্থান। এ কারণে কমিটি ঘোষণার দিন রাহেল সিরাজের বাসায় হামলা হয়েছে। এরপর নিজ বলয়ের নেতারা দায়ী বলে জানিয়েছেন রাহেলের পরিবার। ছাত্রলীগের নেতারা জানিয়েছেন, রাহেল সিরাজ এখন সিলেটে ফিরতে চান। এবং নিজ বলয়েই ফিরতে চান। নিজ বলয় বিদ্রোহী হওয়ার কারণে সিলেট ফিরতে তার সব সমস্যা। কমিটি ঘোষণার পর রাহেল সিরাজ তেলীহাওর গ্রুপের বিরোধী বলয়ের শেল্টার চেয়েছিলেন। কিন্তু কোনো গ্রুপই রাহেল সিরাজকে সমঝে নেয়নি। আবার কেউ কেউ সমঝে নিতে চাইলেও রাহেল সিরাজ তাতে রাজি হননি। রাহেল সিরাজের ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন, সিলেটে ফিরলে নিজ বলয় তেলীহাওর গ্রুপেই ফিরতে চান রাহেল সিরাজ। এ জন্য তিনি নিজ বলয়ের নেতাদের অভিমান ভোলানোর চেষ্টা করছেন। চলমান বরফ গলিয়ে আসতে চাচ্ছেন তিনি। সিলেটে ফিরে তেলীহাওর গ্রুপের হয়ে রাজনীতি করতে উদগ্রীব হয়ে আছেন। এজন্য বলয়ের গ্রিন সিগন্যাল না পেলে সহসাই তিনি সিলেটে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ নেতারা। নতুবা অপর তিন নেতা সিলেটে ফিরলেও রাহেল সিরাজ বিলম্বে ফিরতে পারেন। এদিকে, সিলেটের দর্শনদেউরী, টিলাগড়, গোপালটিলা ও কাস্মির গ্রুপের নেতারা জানিয়েছেন- ঢাকার পর্ব শেষ করে সিলেটে ফিরলে নিজ নিজ বলয়ের নেতারা নতুন পদবিপ্রাপ্ত নেতাদের নিয়ে শোডাউন করবেন। সেই প্রস্তুতি তারা নিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর