× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফানাই নদীতে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন, ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য

বাংলারজমিন

ইমাদ উদ দীন, মৌলভীবাজার থেকে
১৮ অক্টোবর ২০২১, সোমবার

নদীর ভাটিতে জালের ফাঁদ। আর উজানে দেয়া হয় বিষ। মরা- আধমরা ছোট-বড় মাছ ভেসে এসে আটকা পড়ে ওই ফাঁদে। এভাবেই পরিকল্পিত অপকৌশলে বিষ প্রয়োগে ধরা হচ্ছে মাছ। এতে ধ্বংস হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির নানা প্রজাতির মিঠাপানির মাছ। আর লুট হচ্ছে হাজার হাজার টাকার মাছ। ওই দুষ্ট চক্রের কবলে পড়ে এখন মহা হুমকিতে পড়েছে জেলার কুলাউড়া উপজেলার অন্যতম ফানাই নদী ও দেশের সবচেয়ে বড় হাওর হাকালুকি হাওরের দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। নদী তীরের বাসিন্দারা জানালেন, প্রতি বছরই শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে একটি দুষ্ট চক্র নদীতে বিষ দিয়ে মাছ ধরে।
বিষয়টি নিয়ে তারা মৎস্য বিভাগকে জানালেও নেই কোনো স্থায়ী প্রতিকার। এবারো প্রায় মাসখানিক ধরে নদীর উজানে বিষ দিয়ে একটি চক্র নদীর ভাটি এলাকায় ভেল জালসহ নানা কৌশলে মাছ ধরছে। এতে করে দেশীয় প্রজাতির নানা জাতের ছোট- বড় মাছের পাশাপাশি নিধন হচ্ছে সাপ, ব্যাঙ, কাঁকড়া, কুচিয়াসহ নানা জলজ প্রাণী। মহা হুমকির মুখে পড়ছে নানা জাতের জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের খাবার ও বাসস্থান। বিষক্রিয়ায় নষ্ট হচ্ছে মাছ ও জলজ প্রাণীর প্রাকৃতিক খাবার ও প্রজনন। ব্যাহত হচ্ছে মাছ ও জলজ প্রাণীর বংশ বিস্তার। নদীটির উৎস কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়ন এলাকা দিয়ে হলেও রাৎউগাঁও, ব্রাহ্মণবাজার, কাদিপুর ও ভূকশিমইল ইউনিয়ন দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এর শেষ ভাগ গিয়ে মিলিত হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় হাওর হাকালুকিতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফানাই নদী তীরের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, কর্মধা ও রাউৎগাঁও ইউনিয়নের কিছু দুষ্কৃতকারী প্রতিবছরই নদীতে বিষ দিয়ে মাছ ধরে। রাতের শেষদিকে অথবা ভোরে নদীর উজানের দিকে বিষ দেয় ওই চক্র। আর ওই চক্রের সদস্যরা নদীর ভাটি অঞ্চলে জাল দিয়ে ও অন্যান্য কৌশলে মাছ ধরে। নদীতে মরা বা আধ মরা ও পচা মাছ দলবেঁধে ভাসতে দেখে নদী তীরের বাসিন্দারা বুঝতে পারেন নদীতে বিষ দেয়া হয়েছে। তারা বলেন, মৎস্য বিভাগ যদি জোরালো পদক্ষেপ নিতো তাহলে ওই রকম নির্দয় ভাবে দেশীয় প্রজাতির মাছ সঙ্গে জলজ প্রাণীও নিধন হতো না। এ বিষয়ে কুলাউড়া মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল আলম জানান, তিনি এ বিষয়ে অবগত আছেন এবং ওই দুষ্ট চক্রকে ধরতে প্রয়োজনীয় নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী মানবজমিনকে জানান, দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সঙ্গে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে সচেতনতা বাড়াতেও কাজ করবেন। তিনি দেশীয় মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সকলের সচেতনতা ও সহযোগিতা চান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর