১১ই নভেম্বর ২য় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে প্রার্থী হয়েছেন জাহেদ আহমদ। ১৪ই অক্টোবর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার (দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার) অফিসে গিয়ে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার একটি ছবি জাহেদ আহমদ তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। ওই ছবিতে দেখা যায়-মনোনয়নপত্র দাখিলকালে জাহেদ আহমদের সঙ্গে ছিলেন উপজেলার মোল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লায়েক মিয়া। ফেসবুকে পোস্ট করার পর ছবিটি ভাইরাল হলে সর্বত্রই সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকাবস্থায় একজন প্রধান শিক্ষক কী করে প্রার্থীর সঙ্গে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে গেলেন এ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক লায়েক মিয়ার বাড়ি উপজেলার সারসপুর গ্রামে। মেম্বার প্রার্থী জাহেদ আহমদ তার চাচাতো ভাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক লায়েক মিয়া বলেন, ভুল হয়ে গেছে। একটা কাজে নির্বাচন অফিসে গিয়েছিলাম তখন ছবি তোলা হয়েছে তা আমার খেয়াল ছিল না। বালাগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) আব্দুর রকীব ভূইয়া এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তিনি বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তা ও ইউএনও ম্যাডাম আমার চেয়ে ভালো বলতে পারবেন। এ বিষয়ে সিলেট জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা গকুল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, শুধু শিক্ষক নয় সরকারি চাকরিজীবী কারোরই এ ধরনের কাজে অংশগ্রহণের বিধান নেই।