শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভিসি অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয় বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে মিথ্যা অভিযোগ ও সম্প্রতি ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ১২ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা এই সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবে। এছাড়াও হল ও ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেনা।

বহিষ্কৃতরা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এদের মধ্যে অর্থনীতি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ফরহাদ, ইতিহাস বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের জুনায়েদ হোসেন জয়, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট এর ২০১৯-২০শিক্ষাবর্ষের নাইম, একই শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের সাইফুল ইসলাম, আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের খালেদ মাসুদ, লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের অহিদুজ্জামান সরকার, সমাজ তত্ত্ব বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আরিফুল ইসলাম, আরবি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তৌহিদ ইসলাম, কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে তানজিল হোসেনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ ছাড়া রসায়ন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আশরাফুল আলম নায়েম ও আইন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মির্জা কবির সাদাফের বহিষ্কারের মেয়াদ ১ বছর।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতি মূলত দুটি অংশে বিভক্ত। এর মধ্যে সিএফসি (চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার) শিক্ষা উপমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের আরেকটি সিক্সটি নাইননগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দিনের অনুসারী। এ দুটি অংশ আবার ১১টি উপঅংশে বিভক্ত।।