ফেনীতে তিনটি মন্দির ও বেশ কয়েকটি দোকানপাটে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় র্যাবের অভিযানে আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। রোববার রাতে আবদুস সালাম জুনায়েদ ও ফয়সাল আহমেদ আল আমিন নামে দুইজনকে আটক করে র্যাব। সংঘর্ষের ঘটনায় এ নিয়ে তিনজনকে আটক করা হলো। এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাত ৪০০ জনকে আসামি করে দুই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
র্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক ইমরান খান বলেন, সাম্প্রতিক নাশকতা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানি দেয়ার অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে ফেনীর বড় মসজিদের সামনে ‘ধর্মীয় উস্কানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও নাশকতাকারীর মূল হোতা’ আহনাফ তৌসিফ মাহমুদ লাবিব (২২) নামে এক যুবককে শনিবার রাতে আটক করেছিলো র্যাব। লাবিবকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকেও ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে র্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এস এম ইউছুফ জানান, আটক যুবক লাবিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সে ঘটনার সাথে জড়িত বলে র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে।
তার সাথে আরও যারা জড়িত তাদের নামও জানিয়েছে র্যাবকে।
এদিকে জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঘটনার সময়ে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বড় বাজারের ছাপা খানার মালিক আবদুল মান্নানসহ তিনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনির হোসেন বলেন, শনিবারের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা দুই মামলায় প্রায় ৪০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। রোববার রাত পর্যন্ত ওই মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার না দেখালেও কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার দিন ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামি চিহ্নিত করার কাজ করেছে পুলিশ।