× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

থার্ড পয়েন্ট /সাকিবদের ‘টেস্ট’ ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যা কী?

মত-মতান্তর

সাজেদুল হক
১৮ অক্টোবর ২০২১, সোমবার

পাশে স্কটিশ উৎসব। সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে বারবার থেমে যেতে হচ্ছিল মাহমুদুল্লাহকে। বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যাটসম্যানদের মন্থর ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যা জানতে চাইলেন এক সাংবাদিক। বাংলাদেশ দলের নেতা ঠিক কী বুঝাতে চাইলেন বুঝা গেলো না। বললেন, প্রথম ছয় ওভারে বেশি রান করতে চেয়েছিল দল। কিন্তু সেটা হয়নি।

আন্তর্জাতিক মিডিয়া গতরাতে বাংলাদেশের হারকে অঘটন বলছে। কিন্তু আসলেই কি এটি অঘটন। হ্যাঁ, মিরপুরে খেলা হলে এটিকে অঘটনই বলা যেতো।
কিন্তু এ ম্যাচে তো স্কটল্যান্ড বলে-কয়েই বাংলাদেশকে হারিয়েছে। ম্যাচের আগেই তো বাংলাদেশ দলকে কোনো পাত্তাই দেননি স্কটিশ কোচ।
বোলারদের বোলিং দেখে মনে হচ্ছিল, তারা স্কটল্যান্ডকে একটা জবাব দিতেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বিশেষ করে মেহেদী ও সাকিব ছিলেন অসাধারণ। একসময়তো স্কটল্যান্ড একশ’ রান পেরুতে পারবে না এমনটাই ধারণা হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৪০ রানের মোটামুটি একটা স্কোর গড়ে স্কটল্যান্ড। কিন্তু ব্যাটিং উইকেটে এটাতো মামুলি স্কোরই। যদিও শেষ ওভারে মোস্তাফিজ ফুলটসটা না দিলে স্কোর হয়তো আরেকটু কম হতো।

সে যাই হোক। ওপেনিংয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এ ম্যাচেও অব্যাহত ছিল। এবার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। যথারীতি তারা ব্যর্থ। ফিরে গেলেন শুরুতেই। এরপর ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই খেলোয়াড় মুশফিক ও সাকিব। শুরুতে একেবারে টেস্ট স্টাইলে ব্যাটিং করলেন তারা। যেন ৯০ ওভার পড়ে আছে। পরে স্ট্রাইক রেট ঠিক করবেন। আউট হওয়ার সময় সাকিবের স্কোর ২৮ বলে ২০। অথচ টি-টোয়েন্টিতে এটি অন্তত ৪০ হওয়া উচিত ছিল। পরপর দুই বলে দুটি ছক্কা মারার পরও মুশফিক ৩৬ বলে ৩৮। শুরুতে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ৫০ এর আশপাশে। টি-টোয়েন্টিতে এমন ব্যাটিং এখন ওমানও করে না। এরপর আসা যাক অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর কথায়। তিনিও এ ম্যাচে টেস্ট ব্যাটিং করলেন। একটি ছক্কা মারার পরও তার স্কোর ২২ বলে ২৩। অথচ তখন রান করা প্রয়োজন ছিল দু’শ স্ট্রাইক রেটে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই খেলোয়াড়দের অবদান অনেক। বিশেষ করে ওয়ানডে ক্রিকেটে তারা অসাধারণ। টেস্ট ক্রিকেটেও ভালো মানের খেলোয়াড়। যেকোনো খেলোয়াড়রাই ব্যর্থ হতে পারেন। আউট হয়ে যেতে পারেন অল্প রানেই। তাই বলে দলের সেরা তিন খেলোয়াড় মন্থর ব্যাটিংয়ে দলকে ডোবাবেন- এটা কি মানা যায়? ক্রিকেট কখনও কখনও খুব নিষ্ঠুর। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল নিয়ে বোধ হয় আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজনই ছিল।

অবশ্য সমস্যা শুধু খেলোয়াড়দের তা নয়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী ক্রিকেট বোর্ড পরিচালিত দলের কোচ হওয়ার জন্য ডমিঙ্গো যোগ্য কি-না সে প্রশ্ন উঠছে শুরু থেকেই। প্রশ্ন রয়েছে আরও অনেক। কিন্তু কথা হল স্কটল্যান্ডের সঙ্গে হার বড় ধাক্কাই হয়ে এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য। এ ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় পর্বে কি যেতে পারবেন সাকিবরা?
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর